বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে বিকেবি’র শাখা ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২
এম. এ আজিজ || প্রধান প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ।
  • প্রকাশিত সময় : মার্চ, ৮, ২০২২, ৮:৪২ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ময়মনসিংহ অঞ্চলের শাখা ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন হয়।

বাংলাদেশ কৃষিব্যাংক মুখ্য আঞ্চলিক কর্মকর্তার (দক্ষিণ) প্রবীর কুমার দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোঃ জামিল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিকেবি (উ) এর মুখ্য আঞ্চলিক কর্মকর্তা শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন ও বিভাগীয় নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা।

প্রধান অতিথি মোঃ জামিল আহমেদ শাখা ব্যবস্থাপক ও মাঠ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগে ঋন বিতরনে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। যাকে ঋন বিতরন করবেন,তার বিষয়ে ভালভাবে যাচাই বাছাই করে নেবেন। ঋন বিতরন বাড়াতে হবে। অনেক ঋন অনাদায়ী রয়ে গেছে। তা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, অর্থঋন মামলাগুলো বছরের পর পর চলে যাচ্ছে, এগুলোর প্রতি তাগাদা রাখতে হবে। এ বিভাগে ১ কোটি ২৭ লাখ গ্রাহক আছে। অন্যান্য ব্যাংকের গ্রাহক আরো বেশী। এখানে কর্মচারী সল্পতা সহ অনেক সমস্যা আছে। এসব সমস্যা কাটিয়ে প্রতিটি শাখাকে লাভজনক করতে হবে। তেমনি লোকসান কমিয়ে আনতে হবে। আন্তরিকতার সাথে ব্যাংকের প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজ করার আহ্বান জানান মুখ্য আঞ্চলিক কর্মকর্তা প্রবীর কুমার দাস বলেন, চলতি বছরে দক্ষিণ বিকেবি ৫ কোটি ৩০লাখ টাকা লাভ করেছে। আগামী জুনের মধ্যে ১০/১২ কোটি টাকা লাভ করতে হবে। তিনি বকেয়া ঋন আদায়ে বেশ কিছু পরামর্শ দেন।
বিকেবি (উ) এর মুখ্য আঞ্চলিক কর্মকর্তা শরীফ মোঃ তাহাওয়ার বলেন, উত্তরের ১৬ টি শাখায় ৬৮৩ কোটি টাকা ঋন রয়েছে। এখানে কর্মচারী সংকট রয়েছে। পুরাতন ঋন আদায় করে ঋন বিতরন করতে হবে। আগে বকেয়া ঋনের টাকা আদায় করবেন,পরে ঋন বিতরন করবেন। বিভাগীয় নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাদের বিভাগ এত খারাপ না। আমাদের আরো ঋন বিতরন করতে হবে। পুরাতন ঋন আদায় করতে হবে। তবে ঋন গ্রহিতার ব্যাপারে সব খবরা খবর রাখতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে তাদের ঋন বিতরন করতে হবে। শাখা ব্যবস্থাপকদের আরো দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
সঞ্চালনায় ছিলেন, সহকারী মহা ব্যবস্থাপক দীপ্তি চক্রবর্তী, এসপিও নাদিরা খানম ও কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান। দ্বিতীয় পর্বে শাখা ব্যবস্থাপক ও মাঠ কর্মীদের নিয়ে ব্যাংকের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করেন ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।