শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে পিবিআইয়ের অভিযানে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধার

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২
এম. এ আজিজ || প্রধান প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
  • প্রকাশিত সময় : জুলাই, ৫, ২০২২, ৭:৫১ অপরাহ্ণ

মাদ্রাসাছাত্রী সুমাইয়া আক্তার শিমু অপহরণ মামলা প্রাপ্তির দুইদিনের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অভিযানে উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ভালুকা পৌরসভার চাপড়বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সুমাইয়া আক্তার শিমুকে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বেচ্ছায় ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ভালুকার চাপড়বাড়ির শিহাব উদ্দিনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার শিমু চাপড়বাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। শিমু মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের আবু ইবনে মিরাজ খান প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত এবং প্রেম নিবেদন করত। শিমু উক্ত বিষয়টি তার মা নাসিমাকে জানালে তিনি মিরাজের অভিভাবককে বিষয়টি জানায়। মিরাজের অভিভাবক শিমুর মায়ের কথায় কর্ণপাত না করে, তাদের বাড়ী থেকে নাসিমাকে তাড়িয়ে দেয়। এতে মিরাজ ক্ষুব্ধ হয়ে শিমুকে রাস্তাঘাটে হুমকি দিয়ে বলে যে, তাকে তুলে নিয়ে তার সর্বনাশ করবে। শিমু ভয় পেয়ে কিছুদিন মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। নানী অসুস্থ হওয়ায় শিমু তাকে দেখতে যায় এবং গত ৩ জুন তার নানীর বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে রওনা দেয়। পরিমধ্যে মল্লিকবাড়ী রোড সংলগ্ন পৌছা মাত্রই পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আবু ইবনে মিরাজ সহ তার সহযোগিরা প্রাইভেটকারযোগে শিমুকে জোরপূর্বক তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। শিমু বাড়ীতে না ফেরায় তার মা নাসিমা তার নানীকে ফোন করলে জানায়, সে অনেক আগেই তাদের বাড়ী থেকে চলে গেছে। পরে শিমুকে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে মা নাসিমা বাদী হয়ে বিবাদী আবু ইবনে মিরাজ সহ তার মা, তার ভাই, চাচাত ভাই ও বন্ধুর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইঃ, ময়মনসিংহে পিটিশন মামলা নং-৮৯/২০২২, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০ বিজ্ঞ আদালতে দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার আরো জানান, তার নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে এসআই মোঃ আজিমুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলা প্রাপ্তির দুইদিনের মধ্যে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্রী সুমাইয়া আক্তার শিমুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শিমু মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে আবু ইবনে মিরাজ তাকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করত। গত ৩ জুন শিমু তার নানার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে আসার পথে মল্লিকবাড়ী ব্রীজের কাছে পৌছা মাত্র মিরাজ একটি কালো রংয়ের প্রাইভেটকার নিয়ে এসে ভিকটিম সুমাইয়া আক্তার শিমুকে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ১০/১৫ দিন রাখার পর মিরাজ অপহৃত সুমাইয়া আক্তার শিমুকে তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে।শিমুকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে সে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।