বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে পিবিআইয়ের অভিযানে রমিজা হত্যার দুই বছর পর রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১
||
  • প্রকাশিত সময় : মার্চ, ১৬, ২০২১, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ

এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় রমিজা আক্তার হত্যাকান্ডের দুই বছরেরও বেশি সময় পরে ঘাতকচক্রের অন্যতম সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ময়মনসিংহ ধোবাউড়ার সোহাগীপাড়া থেকে গ্রেফতার করে শনিবার গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সোহাগ রবিবার আদালতে স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ধোবাউড়ার পঞ্চনন্দপুর গ্রামের হাতেম আলীর স্ত্রী মাজেদা আক্তার সীমা গত ৭/১২/১৮ তারিখে রাজমিস্ত্রী দিয়ে তার জমিতে বাউন্ডারী নির্মাণ করছিল। বাউন্ডারী নির্মাণকালে তার বড় বোন রমিজা, সাহেরা, ভাই মহির ও জালাল উদ্দিনগণ তাকে সহযোগীতা করছিল।

এ সময় পার্শ্ববর্তী বলরামপুর গ্রামের লুৎফর রহমান ২৫/৩০ জন লোক ভাড়া করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাজেদা আক্তারের জমি দখল করতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং মাজেদা আক্তার ও তার ভাই বোনদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় মাজেদা আক্তার, রমিজা খাতুন, সাহেরা খাতুন, মহির উদ্দিন ও জালাল উদ্দিন গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রমিজা আক্তারর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯/১২/২০১৮ তারিখে রমিজা খাতুন মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ধোবাউড়া থানার মামলা নং- ৭(১২) ২০১৮ দায়ের করেন। থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে সিআইডি মামলাটি অধিগ্রহণ করে এবং মামলার তদন্ত শেষে এজাহারনামীয় ৭ জনসহ আরো ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

সিআইডি’র তদন্তে অজ্ঞাতনামা সকল আসামী সনাক্ত না হওয়ায় এবং আদালতে কোন আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না থাকায় বাদী নারাজী প্রদান করেন। আদালত বাদীর নারাজী গ্রহণ করে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। গত ০১/১০/২০২০ তারিখে পিবিআই মামলাটি প্রাপ্ত হয়ে পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ন কবির সরকারকে প্রদান করা হলে অজ্ঞাতনামাদের সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা চালায়। গত ১৩ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোঃ সোহাগ গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় জড়িদ এবং অন্যান্যদের নাম করে। রবিবার সোহাগকে আদালতে পাঠানো হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আটককৃতরা হলো, শরীফুল ইসলাম ও রাজু মিয়া।

টি.কে ওয়েভ-ইন