মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে অপহরণের ৩ মাস পর পিবিআইয়ের অভিযানে কিশোরী উদ্ধার

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১
এম এ আজিজ || প্রধান প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
  • প্রকাশিত সময় : ডিসেম্বর, ১৯, ২০২১, ৯:৩০ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে অপহৃত কিশোরী মাদ্রাসা ছাত্রী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অভিযানে ৩ মাস পর উদ্ধার হয়েছে। শনিবার রাতে মুক্তাগাছার কলাকান্দা গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত কিশোরীকে আদালতে পাঠানো হলে সে স্বেচ্ছায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, মৈশাদিয়া গ্রামের মাদ্রাসাছাত্রী গত ১২/৯/২১ তারিখ সকালে নিজ বাড়ি থেকে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। তার পরিবার খোজাখুজি করে না পেয়ে কিশোরীর মা লাইলী বেগম মুক্তাগাছা থানায় জিডি নং-৮৭৮, তাং-১৮/০৯/২১ দায়ের করে।

কিশোরীর মায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো বলেন, কিশোরীর বড় বোনের স্বামী ফরহাদ মিয়া পরিকল্পিতভাবে কিশোরী সানজিদাকে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপহরন করে নিয়ে গেছে। এছাড়া ফরহাদ তার সহযোগিদের সহায়তায় সানজিদাকে বেআইনীভাবে আটক রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নীতিবহির্ভূত বে-আইনি কাজে বাধ্য অথবা তাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলতে পারে। এ ধারণায় লাইলী বেগম ফরহাদ ও তার মা বাবার বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানার পিটিশন মামলা নং-১৮৯/২০২১, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০ বিজ্ঞ আদালতে দায়ের করেন।

তিনি আরো বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইকে প্রদান করা হলে কিশোরী মাদ্রাসা ছাত্রী সানজিদাকে উদ্ধারে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মুক্তাগাছার কলাকান্দায় ফরহাদ মিয়ার হেফাজত থেকে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী সানজিদাকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, বিবাদী ফরহাদ মিয়া ২০১৫ সালে সানজিদার বড় বোনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর সে বেশির ভাগ সময় তার শ্বশুরবাড়ি অবস্থান করতো। এ সময় দুলাভাই ফরহাদের কুনজর পরে সানজিদার উপর। এক পর্যায়ে গত ১২/০৯/২০২১ তারিখ সকালে সানজিদা মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বিবাদী ফরহাদ মিয়া কিশোরীকে ফুসলিয়ে ও ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সিএনজিতে করে ময়মনসিংহ নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ থেকে তাকে ঢাকার উত্তরার একটি বাসায় নিয়ে আটকে রাখে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। ঐ কিশোরী ঢাকা থেকে চলে আসতে চাইলে ফরহাদ মিয়া তাকে (কিশোরী) সহ তার বড়বোনকে হত্যার হুমকী দেয়। নিরুপায় হয়ে কিশোরী ফরহাদ মিয়ার সাথে ঢাকার উত্তরায় একত্রে বসবাস করতে থাকে। গত ১৭ ডিসেম্বর ফরহাদ মিয়া সানজিদাকে ঢাকা থেকে মুক্তাগাছার কলাকান্দার নিজ বাড়িতে নিয়ে এলে পিবিআই পরদিন তাকে উদ্ধার করে। রবিবার সানিজদাকে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হলে সে স্বেচছায় ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।