শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহের মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক মদনে বেড়াতে গিয়ে নৌকাডুবি ॥ ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার ॥ নিখোজ দুই

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : আগস্ট, ৫, ২০২০, ১০:৫৪ অপরাহ্ণ

এম এ আজিজ, প্রধান প্রতিবেদক :

নেত্রকোনার মদন উপজেলার রাজালিকান্দা হাওরে যাত্রীবাহী একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন। ৩০ জন সাতরে তীরে উঠেছে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমিজুল হক জানান, বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উচিতপুরে গোবিন্দশ্রী রাজালীকান্দা হাওর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ৩০ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন।
ওসি আরো জানান, হাওরে বাতাসের বেগ ও ঢেউয়ের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া নৌকাটিতে ধারণ মতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ছিলো। উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ এবং দুই শিশু। দুই শিশু হলো, লুবনা আক্তার (১০) ও জুলফা আক্তার (৭) সহোদর বোন। তারা ময়মনসিংহের চরসিরতা ইউনিয়নের ওয়ারেছ উদ্দিনের মেয়ে।
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ তালুকদার বিকেল তিনটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
ওসি আরো জানান, এ পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন শিশু শিক্ষাথী রয়েছে। এছাড়া এখনও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক মিলে মদনের উচিতপুর এলাকায় হাওর ভ্রমণে যান। তারা একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে উচিতপুর থেকে গোবিন্দশ্রীর দিকে যাচ্ছিলেন।
এসময় রাজালিকান্দা এলাকায় গেলে ডেউয়ের প্রচণ্ডতায় ট্রলারটি ডুবে যায়। প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালান। পরে স্থানীয় দমকল বাহিনী ও পুলিশ উদ্ধার তৎপরতায় অংশ গ্রহণ করে।
এদিকে, ময়মনসিংহ সদর এলাকার চর সিরতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বলেন, ‘নেত্রকোনার হাওরে বেড়াতে যাওয়া ৪৮ জনের সবাই ময়মনসিংহের মাকছুদা সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক। তাদের সবার বাড়ি চর ভবানিপুর কোনাপাড়া গ্রামে। নিহতদের মধ্েয মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, তার দুই ছেলে-ভাই ও ভাতিজাসহ একই পরিবারের সাত জন রয়েছেন।এছাড়া নিহত অন্যান্যরা হলেন, মাহমুদুর রহমান, শফিকুর রহমান, ইসা মিয়া, আজহারুল ইসলাম, মাহমুদ মিয়া, আসিক, সামাঅন, রেজাউল করিম, মোজাহিদ মিয়া, হামিদুল, সাইফুল ইসলাম রতন, জোবায়ের, জাহিদ, শামীম হাসান, রাকিব, শফিকুল। তাদের সকলের বাড়ি কোনাপাড়া, ভবানীপুর, লক্ষিপুর, চর খরিচা গ্রামে। ঐ সব গ্রামে এখন শোকের মাতম চলছে।