রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মেজর সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : আগস্ট, ৭, ২০২০, ১১:২৮ অপরাহ্ণ

বাহাদুর ডেস্ক :

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা ইস্যুতে টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৭ অভিযুক্ত কারান্তরিণ পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিআইজি বলেন, সরকারি কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলে অটো বরখাস্ত হওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মে ওই মামলার আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যান্য আসামি এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে পুলিশ সুপার বরখাস্ত করেছেন।

জেলা পুলিশ সূত্র জানান, টেকনাফ থানার জিআর- ৯/২০২০ (সিআর: ৯৪/২০২০) মামলায় টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার জেলা পুলিশের সদস্য ৭ আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেলে পাঠানোর বিষয়টি গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ অবহিত হয়। এরপর প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী ইন্সপেক্টর হওয়ায় তাদেরকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এবং বাকী ৫ জন এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ আগস্ট সকালে মামলা দায়ের করেন।

গত ৬ আগস্ট টেকনাফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (আদালত নম্বর-৩) এর বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এর আদালতে ৭ আসামিকে হাজির করা হলে তারা জামিন আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে সকলকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

পরে একই আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দলাল রক্ষিতকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর ও বাকী আসামিদের ২ দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করছে র‌্যাব। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবে।