বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মসিকে সান্ধ্যকালীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১
||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ২৮, ২০২১, ১১:৩৬ অপরাহ্ণ

এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) উদ্যোগে সান্ধ্যকালীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন উপলক্ষে নগরীর ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা হয়েছে। বৃহ¯প্রতিবার বিকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের শহীদ সাহাব উদ্দিন মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ উম্মে আফসারী জহুরার সভাপতিত্বে সভায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া, কর্পোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হাসান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শীতল সরকার, ব্যবসায়ী নেতা এস এম বজুল রশিদ, ফারুক খান পাঠান, তৌহিদুজ্জামান ছোটন, মোশফেকুর রহমান, একেএম আজাদ সেলিম, শ্রী জিতেন বর্মন, বাবুল দাস, সুভাষ সাহা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মহাব্বত আলী, বিভিন্ন বাজার কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ বক্তব্য রাখেন।
সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হাসান বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমকে জনগণের মাঝে তুলে ধরে, রাত্রিকালীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহযোগীতা করুন। নিজে পরিস্কার থাকুন অন্য কেউ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে উদ্বুদ্ধ করুন। তিনি আরো বলেন, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনকে মডেল সিটি করতে মেয়র ইকরামূল হক টিটুর উদ্যোগকে সাফল্য করতে সহযোগীতা করুন। বর্তমানে বজ্য ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। নগরী অনেকটা পরিচ্ছন্ন হয়েছে। রাত্রীকালীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করা হলে ময়মনসিংহ একটি পরিচ্ছন্ন আধুনিক নগরী গড়ে উঠবে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ উম্মে আফসারী জহুরা বলেন, নগরীর ৮ নং ওয়ার্ড ময়মনসিংহের প্রাণ কেন্দ্র। এই ওয়ার্ডে কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, পিয়াজ মহালসহ একাধিক বাজার রয়েছে। তাই এই ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। এ জন্য ব্যবসায়ীদের আরো বেশি এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাসাবাড়ি বা গৃহস্থালির রান্না বান্না কাজের ময়লা আগের ন্যায় ভ্যান গাড়িতে করে দিনের বেলা নেয়া হবে। যে সব অঞ্চলে ভ্যানে করে গৃহস্থালি কােেজর ময়লা নিতে ভ্যানজনিত সমস্যা বা ভ্যানের ঘাটতি রয়েছে, ঐ অঞ্চলে ভ্যানের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এই শহরটিকে যাতে প্রতিদিন ভোরবেলা একটি পরিচ্ছন্ন শহর দেখা যায় সেই লক্ষ্যে রাত্রীকালীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান, হোটেল ও দোকানে একটি ঝুড়িতে বা কাটুর্নে রেখে দিন। রাত ১০টার পর প্রতিটি দোকান, হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সিটি কর্পোরেশনের লোকজন গাড়িযোগে নিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্পের আওতায় সিটির ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডকে রাত্রীকালীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়েছে। এ সব ওয়ার্ডের সকল এলাকায় রাতের মধ্যেই বর্জ্য সংগ্রহ করবে। এতে নগরীর উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে। অপরিচ্ছন্ন নগরীর বদনাম থেকে বেরিয়ে আসবে ময়মনসিংহ নগরী। এ জন্য সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা এবং জনগণের আন্তরিকতা প্রয়োজন।