শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভালুকায় করোনা আক্রান্ত শুনে নিরুদ্দেশ ৩ শ্রমিক

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৪ মে, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : মে, ৪, ২০২০, ৯:১৬ অপরাহ্ণ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় করোনা আক্রান্ত শোনার পর তিন শ্রমিক নিরুদ্দেশ হয়েছেন। তবে উপজেলায় করোনা আক্রান্ত আরেক গৃহবধূ হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।

আক্রান্তদের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তারা হবিরবাড়ি ইউনিয়নের সিডস্টোর ড্রাইভারপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে একটি ড্রাইং মিলে চাকরি করতেন। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই তারা মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন।

রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল।

তিনি জানান, উপজেলা সিডস্টোর এলাকার ইয়ার্ন বেলি ড্রাইং মিলের ৯ শ্রমিকের করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। এ ছাড়া উপজেলা ধীতপুর ইউনিয়নের রান্দিয়া গ্রামে এক নারী দীর্ঘ এক মাস ধরে অসুস্থ রয়েছেন।

গত ২৯ এপ্রিল তারা ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা (ছোয়াব) দেন। তাদের নমুনা ময়মনসিংহ পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।

রোববার রাতে ৯ শ্রমিকের মধ্যে তিনজন ও এক গৃহবধূর কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে।

আক্রান্তের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ওই নারী গ্যাস্টিক আলসারের রোগী। গত এক মাস ধরে অসুস্থ থাকায় কিছুই খেতে পাচ্ছিলেন না তিনি। গত বুধবার তাকে ভালুকা সদরের মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে রক্তের চারটি পরীক্ষা করানো হয়। সেখান থেকে আমাদের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় করোনা পরীক্ষার জন্য।

তিনি কোথা থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানাতে পারেননি তার স্বজনরা। তবে বাড়ির আশপাশে অনেকেই গাজীপুরের বিভিন্ন মুরগির খামার ও মিলে চাকরি করেন। তাদের অনেকেই ১৫-২০ দিন আগে এলাকায় এসেছিলেন, সেখান থেকে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, সন্ধ্যার পর একবার দুজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আমার কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি। আরেকজনের বাড়ি কোথায় কিছুই বলা যাচ্ছে না। এরা যদি আত্মগোপন করেন, তা হলে বিষয়টি বিপজ্জনক হয়ে যাবে।

ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল জানান, দ্বিতীয়বারের মতো একসঙ্গে এ উপজেলায় চার রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। প্রথম যিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন, শনিবার রাতে তিনি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান।