হে ফেব্রুয়ারি, তুমি যে কতটা বেদনাদায়ক-
তা আমি জানি, আর জানে আমার বুকের প্রতিটি পাঁজর।
যখনই আমি দেখি বাংলা ভাষার অপব্যবহার
তখনই আমার মনে হয়-
এই বুঝি রফিক এসে ভাষার মুক্তির লড়াইয়ে
আমাকে আন্দোলিত করে।
যখনই দেখি বাংলা ভাষার অপব্যবহার
তখনই মনে হয়-
বুকের ভিতর সালাম এসে অ আ ক খ বর্ণমালার মিছিলে স্লোগান দিচ্ছে।
যখনই দেখি বাংলা ভাষার অপব্যবহার
তখনই মনে হয়-
বরকত যেমন করে ঘাতকের থাবার সামনে বুক পেতেছিলো
তেমনি আমিও বুক পেতে বাংলা ভাষার মান রাখি।
যখনই দেখি বাংলা ভাষার অপব্যবহার
তখনই মনে হয়-
জব্বারের মুষ্টিবদ্ধ হাত হয়ে
দারুণ বিপ্লবে ফেটে পড়ি।
আজ আমি বাংলায় কথা বলছি।
তবুও কেনো জানি মনে হয়
আমি এই বাংলা মায়ের এক অশুচি সন্তান।
কি দিয়েছি আমি মা তোমায়?
কেবল স্বার্থপরের মতো আমি তোমার স্তন টেনেই চলেছি।
স্তন টেনে টেনে নিজেকে বানিয়েছি এক আস্তাকুঁড়ে।
অথচ আমি হতে পারতাম লেলিন, চেঙ্গিস, নেপোলিয়ন
হয়তোবা একালের নজরুল।
আমার সাথে আজ জ্বলে উঠতো তোমার যতো বিদ্রোহী সন্তান।
হে ফেব্রুয়ারি, আমি তোমার কাছে আরও শক্তি চাই।
যে শক্তির বলে,
ভাষাকে যারা কলঙ্কিত করেছে তাদের বুকে লাথি মেরে
আমি যেনো ফিরিয়ে দিতে পারি তোমার পূর্ণ মর্যাদা।
যাঁরা রক্তের বিনিময়ে দিয়ে গেছে একটি স্বাধীন ভাষা।
তাঁদের রক্তের প্রতিশোধের আগুনে
আমি যেন হয়ে উঠি এক জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড।
টি.কে ওয়েভ-ইন