শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পরিত্যক্ত ভবন, জমিদাতার বারিন্দা সেবা

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১
রফিক বিশ্বাস || নিজস্ব প্রতিবেদক, তারাকান্দা
  • প্রকাশিত সময় : সেপ্টেম্বর, ১৮, ২০২১, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
 ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার নন্দীপুর কমিউনিটি ক্লিনিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ন এ ভবনে জীবনের ঝুঁকি থাকায়  ক্লিনিকে কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইসসিপি) বসতে পারছেন না ফলে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক  চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।
কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইসসিপি তানিয়া আক্তার পপি জানান, ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর  ক্লিনিকের সেবা কার্যক্রম চালু রাখতে বিভিন্ন সামগ্রী  নিয়ে উঠতে হয়েছে জমিদাতার বাড়িতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নন্দীপুর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। মেঝের কিছু অংশ দেবে  গর্তের মত অবস্থা। ছাদে কয়েক জায়গায় ফুটো হয়ে আছে। দরজা জানালাগুলো পুরোপুরি ভাঙা । ছাদে কার্ণিশ বরাবর চারদিকে ফাটল ধরেছে। ছাদের ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। রোগীদের বসার জায়গা নেই। যে কোন সময় ভবনটি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ভয়ে সেবাগ্রহীতারা প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও ক্লিনিকে আসতে চান না।
স্থানীয় বাসীন্দারা জানান, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ভবনটি ২০১৫ সালে ফাটল দেখা দেয় এবং এর পর থেকেই ভগ্নদশা বাড়তে থাকে।বর্তমানে  ক্লিনিকটি ৩-৪ বছর ধরে পরিত্যক্ত।  ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চলে ওই ক্লিনিকের সভাপতির বাড়িতে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিদাতা ও সভাপতি আবুল কাশেম জানান, ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় প্রায় ৪ বছর যাবত ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম আমার বাড়ি থেকেই  পরিচালনা হয়ে আসছে । নতুন ভবন নির্মাণ করে তাঁদের নিজস্ব ভবনে সেবা দিলে সবার জন্যই ভালো হয়।
নন্দীপুর গ্রামের আনারুল নামের একজন জানান, আমাদের এলাকার ক্লিনিকটি কয়েকবছর  ধরে পরিত্যক্ত হয়ে আছে। এতে জনগনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি  হয়েছে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্লিনিকটি পরিত্যক্ত হওয়ায় এলাকাবাসীর অনেকেই এসব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জায়েদ মাহবুব খান বলেন, পরিত্যক্ত কমিউনিটি ক্লিনিক পুননির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।