শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নোয়াগাঁও গ্রামে নির্যাতিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশে বিএনপি

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১
||
  • প্রকাশিত সময় : মার্চ, ২০, ২০২১, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

বাহাদুর ডেস্ক :

সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত পারিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে শনিবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী।

দুপুরে সেখানে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলার পর প্রতিনিধি দলের নেতা নিতাই রায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে যে হামলা ও লুটপাট হয়েছে তার সঙ্গেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত। নাসিরনগর, রামুসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর-মন্দিরসহ উপসানালয়ে হামলা হয়েছিল-এসব প্রতিটি ঘটনার সঙ্গেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল। কিন্তু তারা নিজেরা দোষ করলেও বিচার না করে বারবার অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছে।

‘কারণ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন, একটি দুর্বল সরকার। এরা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।’

তিনি আরও বলেন, এই নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে যে হামলা, লুটপাট হয়েছে এ ঘটনায় দেশে ও দেশের বাইরেও ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে। আমরা এ ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।

অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, এখানে শুধু বাড়িঘরে হামলাই নয়; নারী ও শিশুদের ওপরও নির্যাতন হয়েছে। নির্যাতিত মানুষদের বুকফাটা কান্না আমরা শুনতে পেয়েছি। হামলার সময় বাথরুমে পালিয়ে থাকা নারী ও শিশুদের বের করে নির্যাতন করা হয়েছে। এখানকার প্রশাসন ঘটনা ঘটার আগে জানার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আপনারা দেখবেন প্রশাসন আছে শুধুমাত্র বিরোধী মত ও বিএনপিকে দমান করার কাজে। নোয়াগাঁও গ্রামের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, নারী ও শিশু নির্যাতনের এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা এই নির্যাতিত পারিবারের পাশে আছি এবং থাকব।

তিনি আরও বলেন, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ করতেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি এবং থাকব। আমরা মনে করি, যারা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম হামলা চালাচ্ছে, তারা মানবজাতির শত্রু।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

টি.কে ওয়েভ-ইন