বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নেত্রকোণায় হস্তান্তরের আগেই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর ভেঙে পড়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
||
  • প্রকাশিত সময় : ফেব্রুয়ারি, ৫, ২০২১, ১১:১২ অপরাহ্ণ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় মুজিববর্ষে গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ঘর হস্তান্তরের আগেই দেখা দিয়েছে ফাটল। ঘরটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে উপকারভোগীদের মধ্যে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অসাধু কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে ঘরে উঠার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর।

স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খলা গ্রামে মুজিববর্ষে গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জানাজানির পর তড়িঘড়ি করে ফাটল বন্ধের চেষ্টা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পূর্বধলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের খলা গ্রামে নির্মিত ১২টি ঘর রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।

এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। এদিকে ফাটলের বিষয়টি দেখে উপকারভোগীদের মাঝে দেখা দিয়েছে আতংক। অসাধু কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর। এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাইলেন স্থানীয়রা।

উপকারভোগী বিউটি আক্তার, রফিকুল মিয়া, দুদু মিয়া ও সুমন মিয়া বলেন, আগে তারা কইছে ঘরো উঠতাম, অহন ঘরে ফাডা দেইখ্যা কয় উঠতাম না। বাইসা মাস গেলে আইতাম। আমার তিনডা বাচ্ছা (ছেলে-মেয়ে)। এরারে লইয়া এই ঘরে থাকতাম না। দেওয়াল ভাইঙ্গা মইরা যাইবাম।

স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, ঘরগুলো নির্মাণের আগে মাটি কাটা হয়। কিন্তু মাটিগুলো সমান করা হয়নি। মাটিতে ফাঁক থাকায় এখন ঘরের ওয়াল, ফ্লোর ফেটে যাচ্ছে। এগুলো খুব বিপজ্জনক হয়ে গেছে। এখন এগুলোতে বসবাস করা যাবে না। বর্ষায় বৃষ্টি শুরু হলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

নতুন মাটি দেবে ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানান প্রকল্পের কাজে জড়িত কর্মকর্তারা। আগামী বর্ষায় পরিস্থিতি দেখে তারপর ঘর ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

পূর্বধলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শুনেছি দলিলের সময় ১২শ’ করে টাকা নেয়া হয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন বরাদ্দ পেলে তাদের টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে। মাটি কাটার পর তাড়াতাড়ি ঘরগুলো নির্মাণ করার কারণে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সঠিক নিয়মেই ঘরগুলো নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।

অনিয়মের কথা অস্বীকার করে ঘর সঠিক নিয়মে করা হয়েছে বলে দাবি পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুমের।

তিনি বলেন, মাটি দেবে ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমি গতকাল সন্ধ্যায়ও (বৃহস্পতিবার) গিয়েছি। মাটির সমস্যার জন্য এমন হয়েছে। কাজ এখনও চলমান রয়েছে। ফাটা স্থানগুলো ঠিক করা হচ্ছে। ঘরের কাজ শেষ হলে উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।