শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দেশের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে চিঠি

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২
বাহাদুর ডেস্ক || ওয়েব-ইনচার্জ
  • প্রকাশিত সময় : মার্চ, ৮, ২০২২, ১:০৬ অপরাহ্ণ

দেশের অ‌নেক ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) অর্থ রেখে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।অনেকে টাকা রেখে এখন ফেরত পাচ্ছেন না। কারণ কাগজে-কলমে ওইসব প্রতিষ্ঠান মুনাফা দেখালেও মূলত টাকা নেই।প্রতিষ্ঠানগুলো আমানতের টাকা তুলে নিচ্ছে।এ অবস্থায় মনগড়া‌-ভুল তথ্য দি‌য়ে যেন প্র‌তি‌বেদন তৈ‌রি না ক‌রা হয়, এজন্য নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক বার্তা দি‌য়ে‌ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

একইস‌ঙ্গে প্র‌তিষ্ঠা‌নের মূল সফটওয়্যার থেকে ত‌থ্য দি‌য়ে আ‌র্থিক প্র‌তি‌বেদন তৈ‌রি কর‌তে নি‌র্দেশনা দেওয়া হয়ে‌ছে। প্রয়োজনে আইটি বিশেষজ্ঞ নিয়ে তথ্য দেওয়ার কথাও বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এমন কঠোর নি‌র্দেশনা দি‌য়ে ইতোমধ্যে ৪৩টি প্রতিষ্ঠান নিরীক্ষাকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ।

যে ৪৩টি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- কে. এম. হাসান অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস্, এ. ওয়াহাব অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হুসাইন ফরহাদ অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস্, নুরুল ফারুক হাসান অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস্, জোহা জামান কবির রশীদ অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস্, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, রহমান রহমান হক অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস্, একনাবিন-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, এম. জে. আবেদিন অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, হুদা ভাসী চৌধুরী অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, মালেক সিদ্দিকী ওয়ালী অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কাজী জহির খান অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস্, এম. এম. রহমান অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস্, ইসলাম আফতাব কামরুল অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস্, হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, জি. কিবরিয়া অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস্।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের কোর ব্যাংকিং সিস্টেমে (সিবিএস) সংরক্ষিত তথ্যের মিল আছে কি না, তা যাচাই করতে হবে। এরপর নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।