শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চিলমারীর বালুচরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কেনাফ চাষ।

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩
রনবীর রায় রাজ || কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ৫, ২০২৩, ৫:২০ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাট জাতীয় প্রজাতি কেনাফ ফসল চাষ। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর চরের পলিমাখা বালুজমিতে কেনাফ বীজ ছিটিয়ে আন্ত:পরিচর্চা, সার, কীটনাশক ছাড়াই আবাদ হচ্ছে ফসলটি। উৎপাদনও আশানুরুপ হওয়ায় এবার ৫০০ একর জমিতে চাষের টর্গেট নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট ২০১৭-১৮ মৌসুমে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপূত্র নদের দুর্গম চরাঞ্চল বনগ্রামে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে পাট জাতীয় প্রজাতী কেনাফ বীজ চাষ করা হয়। শুরুতেই লাভবান হওয়ায় এবছর বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট ৬টি ব্লকে কেনাফ বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি জনপ্রিয়করণ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম হাতে নেয়। ফলে ব্লকের বাইরে প্রায় ২০০ একর জমিতে কেনাফ চাষ করা হয়। এটি চাষ করতে তেমন কোন খরচ করতে হয় না। ডাল জাতীয় ফসলের সাথে কিংবা ফুলকপি, বাঁধাকপি কিংবা বেগুনের সাথেও সাথী ফসল হিসেবে এটি চাষ করা যায়। এজন্য নিড়ানি, আন্ত:পরিচর্চা, কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। অল্প সার দিলেই হয। গায়ে কাটা থাকায় গবাদিপশু আক্রমন করতে পারে না। একরে উৎপাদন ১০ থেকে ১২ মন। ৪ মাসের মধ্যেই ফসল ঘরে তোলা যায়। এবার ৫০০ একর জমিতে কেনাফ চাষের টর্গেট নেয়া হয়েছে বলে মাঠ দিবসে কৃষক ও কর্মকর্তারা জানান। অপ্রচলিত কেনাফ ফসল চাষ করে এখানকার কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে। এটি সম্প্রসারণে কৃষকদের পাশে থাকবে কৃষি বিভাগ। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে তোষাপাটের সাথে এই অঞ্চলে কেনাফ বীজ চাষ করা হয়। দেখা গেছে এক শতকে ৬ কেজি পর্যন্ত কেনাফ বীজ উৎপাদন করা যাচ্ছে। ফলে কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় এটি সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশী পাট ও তোষা পাটের চেয়ে কেনাফের সুবিধাটা হলো এতে কৃষকের কোন বাড়তি খরচ করতে হয়না। উর্ভর বালু মাটিতেও এটি উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়াও সাথী ফসল হিসেবে বেগুন ক্ষেত, বাধাকপির সাড়িতেও কেনাফ বীজ উৎপাদন করা যায়।