মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহের চরপাড়ায় ফোরলেন সড়কের সিংহভাগ জুড়ে এম্বুলেন্স ষ্ট্যান্ড

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
এম এ আজিজ || প্রধান প্রতিবেদক ময়মনসিংহ
  • প্রকাশিত সময় : সেপ্টেম্বর, ১৮, ২০২২, ৫:১২ অপরাহ্ণ
 ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সড়ক ও জনপথের দেড় কিলোমিটার ব্যস্ততম ফোরলেন রাস্তার একপাশ দখল করে আছে ২’শতাধিক ব্যক্তি মালিকানার অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্স গুলো দিবারাত্র দাড়িয়ে থাকার কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। এতে যানজট সৃষ্টিসহ পথচারীরা প্রায়ই ছোটখাটো দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে। সম্প্রতি নয়া পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভুঞা যানজট মুক্ত করনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতি মধ্যে চরপাড়া এলাকার অ্যম্বুলেন্স রাখার বিপরীত প্রান্তে ফুটপাত অপসারন করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি অ্যাম্বুলেন্স পার্কিয়ে মাসে ১২শ টাকা করে প্রভাবশালীদের চাদা দিয়ে আসছে চালকরা। অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সুত্রে জানা গেছে এখানে (রাস্তায়) গড়ে শতাধিক অ্যামুলেন্স দাড়িয়ে থাকে।
ময়মনসিংহের সাবেক পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন ও আহমার উজ্জানের নির্দেশে এ সড়ক ছিলো যানজট মুক্ত। কোন অ্যাম্বুলেন্স ও ফুটপাত ভীড়তেই পারতোনা। পুলিশ সুপার আহমার উজ্জানের বদলীর খবর শুনে ধীরে ধীরে ফুটপাত বসা ও অ্যাম্বুলেন্স রাখা শুরু হয়। যা যানজটের অসহনীয় রূপ ধারন করলে নয়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফুটপাত বসা বন্ধ হয়। অপরদিকে অবৈধ ভাবে পর্কিং করে রাখা অ্যাম্বুলেন্স গুলো যেন কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেনা। অ্যাম্বুলেন্স গুলোর বেশীর ভাগ মালিক হচ্ছেন চরপাড়া এলাকার। তাদের নিজস্ব কোন গ্যারেজ না থাকায় সরকারী রাস্তায় রেখে চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথের ৪ লেনের সড়কে রোড ডিভাইডারের একাংশ অর্থাৎ এক লেন দখল করে আছে অ্যাম্বুলেন্স গুলো। ফলে পথচারি ও রোগীর যাত্রাপথে যানজটের কারণে অনেকটা সময় এখানে বিরম্ভনার শিকার হতে হয়। অনেক সময় গাড়ী থেকে রোগী নামিয়ে কাঁদে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
সুত্র জানায়,অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের সাথে একাধিকবার ইন্টানী ডাক্তার ও পথচারীদের সাথে মারামারি হয়েছে। অর্থাৎ নাগরিক সুবিধা অসুবিধা আমলে না নিয়ে তারা ব্যবসার কাজে ব্যস্ত। সমস্যা গ্রস্তরা এ সকল অ্যাম্বুলেন্সে ধরাশায়ী হয়েও চড়া মূল্যে রোগী কিংবা লাশ বহনে বাধ্য হচ্ছে।
চরপাড়া এলাকার মোছলেম উদ্দীন (৬৩) জানান, এ সকল অ্যাম্বুলেন্সের বেশীর ভাগ চালক স্থানীয় হুমড়াচুমড়া। ভুয়া রানার ও ভুয়া লাইসেন্সধারীর সংখা বেশী। অনেক ড্রাইভার বিভিন্ন ক্লিনিকের দালাল। ওদের সাথে কথা বলতে যাইনা। কারন ওদের অচার অচারনও রুক্ষ।
একজন ইন্টানী ডাক্তার জানান, এ সকল ড্রাইভার অল্প বয়সের ও উসশৃংখল। এদের সাথে কথা বলিনা।
একাধিক ড্রাইভারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সমিতির চাঁদা দেয়, পুলিশ মান্থলি (মাসোহারা) দেয়। ফলে তাদের কোন সমস্যা হয়না। নগরবাসীর অভিযোগ, জনগণের চলাচল সুবিধা নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে সরকার কোটি টাকা খরচ করে ফোর লেন সড়ক করেছে। আর ফোর লেন সেই সড়কের সিংহভাগ দখল করে আছেন অবৈধ এম্বুলেন্স চালকরা।