শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঘরে বসে লাখপতি গৌরীপুরের গৃহবধূ !

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : অক্টোবর, ৪, ২০২০, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ
শখ থেকে সৌখিনতা! বদলে দিয়েছে সাথী’র পথচলা। শুধু নিজে নয়, পুরো পরিবারের ধারণাই এখন পাল্টে গেছে। ঘরে বসে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের গৃহবধূ তাছলিমা সাথী এখন লাখপতি’র তালিকায়! দুর্বল নেটওয়াক- জেলা সদর থেকে দুরত্ব, কোভিড-১৯ দুযোর্গেও ভেঙ্গে পড়েননি। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের শান্তিবাগের এখন শান্তির দূত। এ নারী উদ্যোক্ত পথ দেখিয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নারী উদ্যোক্তাদের ই কমার্স প্লাটফর্ম Women and e- commerce forum(WE) DB
একজন উদ্যোক্তাকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখা উচিৎ, নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নয়। কিন্তু এই মুহর্তে আমাদের দেশে নারী তথা নারী উদ্যোক্তা ও নারী পেশাজীবিরা পুরষদের মতো নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ পাননা। এটা সমাজের সমস্যা হোক, দেশের সমস্যা হোক- এটা একটা সমস্যা। নারীরা এমন কিছু সমস্যা মোকাবিলা করেন যেটা একই সমাজের একজন পুরুষকে মোকাবেলা করতে হয়না। তেমন একজন নারী উদ্যোক্তার সফলতার গল্প এটি। তিনি হলেন একজন সংগ্রামী সফল নারী উদ্যোক্তা, সারাফ বুুটিক ঘরের স্বত্ত্বাধিকারি তাছলিমা সাথী। তার এ আগ্রহে সাহস আর শক্তির যোগান দাতা হলেন তার স্বামী একেএম সাজ্জাতুল ইসলাম বিপুল।
সফল নারী উদ্যোক্তা তাছলিমা সাথী ময়মনসিংহের সদরের রাঘবপুর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা এবং স্নাতক, স্নাককোত্তর পর্যন্ত ময়মনসিংহের মাটিতে কেটে দেওয়া। লেতুমন্ডল উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল পার করে শহরের মুমিনুন্নিসা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং এিশাল কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। আত্ননির্ভরশীল হওয়ার জন্যই এখন তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা।
নিজস্ব আগ্রহ ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন ক্রেতাবলয়, অর্জন করেছেন আস্থা। শুরুটা স্বাভাবিকভাবেই মসৃণ না হলেও তিন মাসে তাঁর পোশাকভিত্তিক পেজ পেরিয়েছে অনেক বন্ধুর পথ।
সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন স্বামী এবং পুরো পরিবার। সব সময় তারা তাঁর পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় আজ তিনি এই জায়গায় আসতে পেরেছেন।
সাথী মনে করেন, অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগগুলোকে এখনো অনেকেই সংসার সামলে অবসরে করা শখের কাজ ভাবে। শুরুতে তাঁর এমনও অভিজ্ঞতা হয়েছে, অনেকে তাঁর ব্যবসাটি ঘরকেন্দ্রিক ভেবে তেমন খরচের ব্যাপার নেই বলে ন্যায্য স্বীকৃতিটিও দেয়নি। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন, যেকোনো সনাতনী পেশাজীবীর চেয়ে একজন উদ্যোক্তাকে তাঁর ব্যবসায় ভাবনা, শ্রম ও সময় কোনো অংশেই কম দিতে হয় না।
নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আমার পরামর্শ- স্বাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকার স্বার্থকতাটাই আলাদা। তাই বলবো, একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হলে আপনাকে অবশ্যই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমে পড়তে হবে। প্রতিবন্ধকতা থাকবেই, তবে ইচ্ছা থাকলে তা ওভারকাম করা সম্ভব।
উদ্যোক্তা হওয়ার পিছনের গল্প শুনতে চাইলে তাছলিমা সাথী বলেন অনেক দিনেরই ইচ্ছা ছিলো ব্যবসা করার কিন্তু শুরুটা কিভাবে হবে বুঝে উঠতে পারছিলনা।তখনি যুক্ত হলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নারী উদ্যোক্তাদের ই কমার্স প্লাটফর্ম Women and e- commerce forum(WE) DB এই গ্রুপ থেকেই সকল ধরণের উৎসাহ পেলাম,এবং এই উইয়ের হাত ধরেই আমার যাএা শুরু।