শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে একের পর এক ট্রেন লাইনচ্যূত : ৩ কর্মচারীকে ঢাকায় তলব

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ১৮, ২০২০, ৩:১৫ অপরাহ্ণ

প্রধান প্রতিবেদক :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে ৩দিনে তিনবার ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিন লাইনচ্যূত হয়। আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেসের যাত্রীবাহী ২টি বগি, মালাবাহী ট্রেনের একটি বগি ও উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেনের টুলস্ ইঞ্জিন লাইনচ্যূতের ঘটনায় শনিবার (১৮ জানুয়ারি/২০২০) তদন্ত কমিটি ঢাকায় তলব করেছে।
এদিক ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের তারাকান্দিগামী সারবাহী মাল ট্রেনের এক বগি গৌরীপুরে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি/২০২০) সন্ধ্যা ৫টা ২০মিনিটের লাইনচ্যূত হয়। এ দুর্ঘটনার কারণে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে ৫টা উদ্ধার কাজ শেষে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

অপরদিকে গৌরীপুরে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমকে প্রধান করে গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন সিগন্যাল বিভাগের কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী সুকুমার রায় ও এএমাই কর্মকর্তা সাজিদ হাসান নির্জন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি/২০২০) ঢাকায় সাক্ষাতকার বোর্ডে জবানবন্দি দেয়ার জন্য গৌরীপুর রেলওয়ের সিএসএম আব্দুল কাদির, পয়েসম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন ও সিগন্যাল কালাসী জেসমুন আরিফ তৌফিক ঢাকা তলব করেছেন।

এ দিকে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রিলিফ ট্রেনের ২৮০৪নং টুলস ইঞ্জিন শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যূত হয়। মালবাহী ট্রেনের ২টি বগি ৪নং রেললাইনে রেখে ফেরত আসার সময় ক্রসিং পয়েন্টে ইঞ্জিন এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্টেশন মাস্টার আব্দুর রশিদ নিশ্চিত করেন, শনিবার সকাল ৬টায় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি উদ্ধার শেষে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। কেবিন মাস্টার মোঃ সাইদুর রহমান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত সারবোঝাই মালবাহী ট্রেনের ২টি বগি ডেমেজ হয়ে গেছে। বাকী ২২টি বগিসহ মালবোঝাই ট্রেনটি দুপুর ১টার পর তারাকান্দির উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের অধিনে দুর্ঘটনা কবলিত রেললাইনে মেরামত কাজ বলে নিশ্চিত করে উপপ্রকৌশলী ওয়াহেদুল হক।

অপর কেবিন মাস্টার মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস রাত ৯টার স্থলে ১২টায় ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। উদ্ধার কাজের জন্য মোহনগঞ্জ থেকে ২৬৩নং ট্রেনটি শ্যামগঞ্জে আটকা পড়ে। ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিলো রাত ৮টা ৪২মিনিট। বিজয় ছেড়ে যাওয়ার পর মোহনগঞ্জ ট্রেনও ছেড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গৌরীপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ১নং রেলক্রসিং অতিক্রম করার পরেই মালবাহি ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যূত হয়। তবে ট্রেনের চালক ও পরিচালক টের পায়নি। ফলে লাইনচ্যূত বগি নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি প্রায় ৩শ গজ চলে যায়। এ সময় বিকট শব্দে আশপাশের মানুষ চিৎকার শুরু করলে ট্রেনটি গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালে কাছে গিয়ে থামে। ট্রেনের চালক মোঃ রেজাউল করিম জানান, গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের ৩৩১/২ কিলোমিটার পয়েন্টে ট্রেনের সার বোঝাই ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যূত হয়েছিলো। ট্রেনের পরিচালক ফজলে এলাহী জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সার বোঝাই ২৪টি বগি নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। গৌরীপুর ১০নং বগির চারটি চাকা রেললাইন থেকে সরে গিয়েছিলো।

টি.কে ওয়েভ-ইন