সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুর ইউএনও’র সরকারি নাম্বার ক্লোন করে শিক্ষকদের নিকট টাকা দাবি

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ১১, ২০২১, ৭:৫৯ অপরাহ্ণ

প্রধান প্রতিবেদক :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফের সরকারি নাম্বার ক্লোন (সফটওয়্যারের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির মোবাইল নম্বর অবিকল নকল করে অন্য নম্বরে ফোন করা) করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিকট টাকা দাবি করেছে প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় ইউএনও’র কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সিএ) মো. রইছ উদ্দিন গৌরীপুর থানায় শনিবার (১০ এপ্রিল/২০২১) সাধারণ ডায়েরি করেন।

সাধারণ ডায়রীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ঘটনা তদন্ত ও অপরাধীদের ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসান মারুফ এর সরকারি নাম্বার ক্লোন করে একটি প্রতারক চক্র শনিবার উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার অধ্যক্ষ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মোবাইলে যোগাযোগ করে। এ সময় প্রতারক চক্র ইউএনও পরিচয়ে ল্যাপটপ দেয়ার কথা বলে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের কাছে ৯ হাজার টাকা দাবি করে। দাবীকৃত টাকা পাঠানোর জন্য বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের (০১৬৩৭৬৮৮০৮৫) নাম্বার দেয়। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে শিক্ষকরা ঘটনাটি ইউএনওকে জানান। এরপরে প্রতারক চক্রের টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি ফাঁস হয় এবং প্রতারণা ভেস্তে যায়।
কিল্লা বোকাইনগর ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ছায়ীদুল হক জানান, শনিবার দুপুরে ইউএনও স্যারের নাম্বার থেকে ফোন করে বলা হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৫৬ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ দেয়া হবে। আপনি নিতে চাইলে দ্রুত ৯ হাজার টাকা পাঠিয়ে কাল অফিস থেকে ল্যাপটপ নিয়ে যাবেন। পরে ঘটনা ঊর্ধ্বতনদের অবহিত করলে প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ পায়। গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনামূল হক সরকার বলেন, ইউএনও স্যারের নাম্বার থেকে ফোন করে আমার কাছে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নাম্বার চায়। কিন্ত মোবাইলে কন্ঠস্বর অন্যরকম হওয়ায় আমি জানতে চাই স্যার শরীর খারাপ কিনা। তখন তিনি বলেন একটু ঠান্ডা-সর্দি লেগেছে তাই এই রকম। পরে ঘটনা আমি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করি। ইসলামাবাদ সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. রুকন উদ্দিন বলেন, ইউএনও স্যারের নাম্বার থেকে ফোন করে ল্যাপটপ দেয়ার কথা বলে একটি নাম্বারে দ্রুত ৯ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়। কন্ঠস্বর ও কথাবার্তা অন্যরকম মনে হওয়ায় আমি টাকা না পাঠিয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে জানতে পারি এটা প্রতারক চক্র ছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ বলেন, এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। পাশাপাশি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

টি.কে ওয়েভ-ইন