শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুরে হাট-বাজারে উপচেপড়া মানুষের ভিড় ॥ সামাজিক দুরত্বের বালাই নেই!

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ২১, ২০২০, ৮:০৪ অপরাহ্ণ

মোখলেছুর রহমান, গৌরীপুর প্রতিনিধি ঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল/২০২০) হাটের প্রত্যেকটি বাজারে ছিলো উপচেপড়া মানুষের ভিড়। লোকারণ্যের কারণে পুরো বাজার ঈদের বাজারে পরিণত হয়। শহরের মাছমহাল, কাঁচাবাজার ও রাস্তার দু’পাশের বাজারগুলোতে দাঁড়ানোর ঠাঁই নেই। প্রত্যেকটি দোকানেও ছিলো দীর্ঘ লাইন। সামাজিক দুরত্বের জন্য এসব দোকানের সামনে মাইকিং থাকলেও কেউ মানছেন না।
অপরদিকে শহরে সিংহভাগ দোকানগুলো ছিলো খোলা। রড-সিমেন্ট, টিন ও হার্ডওয়্যার সামগ্রীর দোকানগুলোতে লোকজনের উপস্থিতি ছিলো চোখেপড়ার মতো। দোকানীরাও র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানের সাইরেন (শব্দ) শোনার সঙ্গে সঙ্গে শার্টার লাগিয়ে দিচ্ছেন। আবারও মুর্হূতের মাঝে খুলে ফেলছে। ‘চোর-পুলিশ’ খেলার মতোই চলছিলো শহরের দোকানপাট। মাল নেই- আনা যাচ্ছে না এমন অজুহাতে রড ও টিনের দাম আকাশচুম্বী।
এদিকে ডৌহাখলা ইউনিয়নের ডৌহাখলা বাজার ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ বাজারেও ছিলো উপচেপড়া মানুষের ভিড়। সকাল থেকে গ্রামাঞ্চলের মানুষ নানা অজুহাতে শহরে ছুটে আসেন। করোনা ভাইরাসের বিষয়েও তারা সচেতন নন। অনেকের মুখে মাস্কও ছিলো না। রামগোপালপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহান জানান, টিন নিতে এসেছি। মাস্ক ভুলে আনা হয়নি। সবজি বাজারে কথা হয় গৌরীপুর ইউনিয়নের শালীহর গ্রামের মমরুজ আলী। তিনি জানান, খাইতে হইবো, তাই আইছি, মাস্ক পকেটে আছে।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য তিনি শহরে মাইকিং করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধরও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানান।