শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুরে প্রেমের বিয়ে মেনে নেয়নি পরিবার ॥ বধূসহ ৪জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে গুরুত্বর আহত

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : সেপ্টেম্বর, ৩০, ২০২০, ৬:২২ অপরাহ্ণ

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের রসুলপুরে প্রেমের বিয়ে মেনে নেয়নি পরিবার। এ ঘটনায় পুত্রবধূ আকলিমা আক্তারকে মারধোর ও নিয়মিত নির্যাতন চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার আকলিমা আক্তারকে বাঁচাতে এসে গুরুত্বর আহত হয় তার ভাই ফয়সাল মিয়া (২১), খালাতো ভাই মোঃ সাদেক মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩০)। এ ঘটনা ঘটে গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর/২০২০)।
এ ঘটনায় আকলিমা আক্তারের বাবা মোঃ জমির উদ্দিন বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় রসুলপুর গ্রামের মোঃ মজিবুর রহমানের পুত্র মোঃ আরশাদুল ওরফে সাইদুল (২৬), মোঃ পিয়েল মিয়া (২৩), মোঃ হিমেল মিয়া (২১), মৃত নবী হোসেনের পুত্র মোঃ হাবুল মিয়া (৪০), মোঃ হাবুল মিয়ার পুত্র মোঃ পলাশ মিয়া (২০), মোঃ ইসলাম উদ্দিনের পুত্র মোঃ আলম মিয়া (২৫) ও আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩জনকে আসামী করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন।
অপরদিকে এ মামলার শুনানী মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর/২০২০) ৪নং আমলী আদালত গৌরীপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে মামলার অন্যতম আসামী মৃত নবী হোসেনের পুত্র মোঃ হাবুল মিয়া (৪০) এর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ভিকটিম ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের পুত্র মোঃ জমির উদ্দিনের কন্যা আকলিমা আক্তার চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টের কর্মী ছিলো। আমার প্রতিবেশী মোঃ মজিবুর রহমানের পুত্র মোঃ আরশাদুল ওরফে সাইদুলও চট্টগ্রামে শ্রমিকের কাজ করতো। একই এলাকায় বসবাস করায় তাদের দু’জনের মাঝে সুসম্পর্কের মাধ্যমে প্রেম ও অতঃপর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সাইদুলের পরিবার ও স্বজনরা এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এ ঘটনায়কে কেন্দ্র করে প্রায়শঃ আমার মেয়ের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। তাদের বাড়িও আমার পাশ^বর্তী হওয়ায় মেয়ের অত্যাচার ও নির্যাতন দেখে আমার পরিবারের লোকজন কন্যাকে বাঁচাতে যায়। এ সময় তাদের হামলায় আকলিমা আক্তারের হাত ভেঙ্গে যায়, ফয়সাল মিয়ার মাথায় ও শরীরের আঘাত পায়, মোঃ সাদেক মিয়ার মাথায় কুপ ও হাত ভেঙ্গে দেয়, তার স্ত্রী ফেরাতে গেলে তার স্ত্রী মিনা আক্তারকেও কুপিয়ে জখম করে।
ঘটনার পর থেকে বাদী ও তার পরিবার-পরিজন এবং আত্মীয় স্বজনদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে মামলার বাদী মোঃ জমির উদ্দিন অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান, বিবাদীদের হুমকির কারণে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নের সৃষ্টি হয়েছে।