শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গরীবের ডাক্তার আব্দুল মান্নানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১
শ্যামল ঘোষ || উপজেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় : অক্টোবর, ২৭, ২০২১, ২:১৮ অপরাহ্ণ

গরীবের ডাক্তারখ্যাত প্রবীণ চিকিৎসক ডা. আব্দুল মান্নানের আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর/২০২১) তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি নিভৃত পল্লীতে বিনামূল্যে প্রায় ৬০বছর যাবত চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের নয়াপাড়ায় শুধু বিনামূল্যে চিকিৎসা নয়, দরিদ্র রোগীদের অর্থনৈতিক সহযোগিতাও করে গেছেন তিনি।
উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের শেখ আব্দুল করিম ও শেখ নেকজান বিবি’র পুত্র। শিক্ষার সনদে জন্ম তারিখ ২ জানুয়ারি ১৯৩৬। আর.কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৩সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ঢাকার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করে ১৯৬০সাল থেকে চিকিৎসা সেবা পেশা শুরু করেন। মায়ের আদেশ পালন করতেই তিনি জন্মভূমি ছেড়ে সরকারি চাকুরী বা দূরে চিকিৎসা সেবা দিতে যাননি। ১৯৫৯সালে শুরু করেন দাম্পত্যজীবন। ৫কন্যা ও ৩ পুত্রের জনক ছিলেন। গৌরীপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে গ্রন্থের লেখক রণজিৎ কর জানান, তিনি শুধু বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র দেননি, অনেককে ওষুধ ক্রয়ের টাকাও দিয়েছেন। প্রকৃত অর্থেই একজন সমাজ হিতৈষী ছিলেন ডাঃ আব্দুল মান্নান।
তিনি ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি ও উপজেলা জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতিকে নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন। গৌরীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদের ভাইরা ভাই হন।
চিকিৎসাসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে দৈনিক যুগান্তর এর দেশসেরা পাঠক সংগঠন গৌরীপুর যুগান্তর স্বজন সমাবেশ কর্তৃক যুগান্তর স্বজন সম্মাননা, সাংবাদিক সুরেশ কৈরী পদক ও বীরঙ্গনা সখিনা সিলভার অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পদকপ্রাপ্ত হন। নতুন প্রজন্মের ডাক্তারদের জন্য ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা বিভ্রাট ও প্রতিকার’ নামক একটি বই লিখেছেন।
গৌরীপুর উপজেলা ঘোষণার পূর্বে তিনি ঈশ্বরগঞ্জ থানা পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হন। ১৯৬৪সালে গৌরীপুর পৌরসভার কমিশনার ও ১৯৭৭সালে পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পাটির প্রার্থী হিসাবে লাঙল প্রতীক নিয়ে মাঠে নামেন। গৌরীপুর সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা, গৌরীপুরকে উপজেলায় উন্নীতকরণ, কৃষি ব্যাংকের শাখা, পল্লী উন্নয়ন বোর্ড স্থাপনসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে কবর জিয়ারত, কুরআনখানি ও যুগান্তর স্বজন সমাবেশের উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।