মোখলেছুর রহমান :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কেরামতিয়া মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্ধে সোমবার (১৩ জানুয়ারি/২০২০) রাতে প্রতিপক্ষের ২৭টি বাড়ির ৮টি ঘর, ৩৯টি খড়ের পুঞ্জিতে (গাদা) আগুন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈশ^রগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মসজিদ কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুল মোনায়েম জানান, মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিলের পুত্র মোঃ নুরুল মিয়ার নেতৃত্বে সোমবার রাতে সবগুলো বাড়িতে ও খড়ে আগুন দিয়েছে। তার আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ও পক্ষের লোকজনের কারো বাড়িতে আগুন দেয়নি। অপরদিকে নুরুল মিয়ার পরিবারের দাবি, নুুরুল মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।
তবে পরিবারের এ বক্তব্য সত্য নয় বলে জানান গুজিখা গ্রামের ছমির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কদ্দুছ। তিনি আরো জানান, তাকে মসজিদের খাদেম দেয়ার দাবিতে গত শুক্রবার মসজিদের সাইফুল ইসলামকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। নওয়াগাঁও গ্রামের মঞ্জুয়ারা জানান, তার স্বামী ও দেবর সিলেটে কাজ করেন। বিদেশী দুগ্ধ গাভীর খামারের জন্য কেনা ২৫হাজার টাকার খড় পুড়ে গেছে, ঘরের ক্ষতি হয়েছে ১০হাজার টাকার।
আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ অন্যরা হলেন নওয়াগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া, আবুল কাসেম, আবুল হাসিম, রাজন মিয়া, কাসেম মিয়া, আবু সাঈদ, হায়দর আলী, আব্দুল জলিল, গুজিখাঁ গ্রামের খোরশেদ আলী, দিলুয়ার হোসেন, হাসেম উদ্দিন, আব্দুল গফুর, মোঃ আবুল বাসার, ফারুক মিয়া, লাল চান, মোনায়েম, মোহাম্মদ আলী, নয়ন মিয়া, নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, তারা মিয়া, বাদল মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল কদ্দুছ, আনোয়ার হোসেন। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বুরহান উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।
টি.কে ওয়েভ-ইন