শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কেন্দুয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : নভেম্বর, ২, ২০২০, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

শাহ্ আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বাড়ি থেকে মুখে কাপড় বেধে তুলে নিয়ে ধানক্ষেতে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি প্রথমে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় মাতব্বর সুরুজ আলী ও মজিবর নামে দুই ব্যাক্তি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করায় অবশেষে ৮ দিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। কেন্দুয়া উপজেলার পনকেন্দুয়া গ্রামে ঘটেছে এ ধর্ষণের ঘটনাটি। তবে ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক ও তার এক সহযোগী পলাতক রয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ বিষয়ে রোববার (১ নভেম্বর/২০২০) দুপুরে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ্ খানের সাথে কথা হলে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার পনকেন্দুয়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

তিনি জানান, একই উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত মুগদুম আলীর ছেলে একলাছ মিয়া (২৬) পনকেন্দুয়া গ্রামে তার খালার বাড়িতে যাওয়া-আসা করার সুবাদে ওই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীটিকে নানাভাবে উত্তক্ত করে আসছিল। ঘটনার সময় এখলাছ মিয়া তার অপর সহযোগী সাইদুর রহমানকে নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীটিকে ঝাপটে ধরে তার মুখে কাপড় বেধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির কাছে একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে সহযোগী সাইদুরের সহায়তায় ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে। অপরদিকে ছাত্রীটিকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করলে এক পর্যায়ে অজ্ঞান অবস্থায় ধান ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় ছাত্রীটির পিতা বাদী হয়ে গত ২৯ অক্টোবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের সাথে সাথে মামলা রুজু করা হয়।

টি.কে ওয়েভ-ইন