রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

করোনাযোদ্ধা ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আবারো মাঠে : সচেতনতামূলক প্রচারণা ও মাস্ক বিতরণ

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : নভেম্বর, ১০, ২০২০, ৬:৩০ অপরাহ্ণ

এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥

করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা মানুন, নিজে সুস্থ্য থাকুন, পরিবার ও দেশকে সুরক্ষিত রাখুন এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে সচেতনতামূলক প্রাচরণা, মাস্ক বিতরণ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো কার্যক্রম করা হয়। করোনাযোদ্ধা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান নগরীর পাটগুদাম ব্রীজমোড়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন

পুলিশ সুপার বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে আসছে শীতে দ্বিতীয় দফায় করোনার ঝুকি আবারো বাড়তে পারে। এ জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলকভাবে পড়তে হবে। করোনা ঝুকি মোকাবেলায় আইন করা হয়েছে। মাস্ক না পরলে ৬ মাসের জেল ও ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলা পুলিশ করোনার ঝুকি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পুর্বের ন্যায় প্রচারণায় নেমেছে। এই প্রচারণা অব্যাহত থাকবে। মাস্ক বিহীন মানুষজনকে আইন সম্পর্কে জানানো, সচেতন করা এবং জেল জরিমানা সম্পর্কে অবহিত করতে প্রচারণা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এর পরও কেউ যদি মাস্ক বিহীন রাস্তায় চলাচল করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা জেল জরিমাণা করা হবে। মাস্ক বিহীন কাউকে রাস্তায় পেলে পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন। এ সময় তিনি ব্রীজ মোড়ের বিভিন্ন ফলমুলের দোকান, হোটেল, নিত্যপণ্যের দোকানে মাস্কের গুরুত্ব, না পড়ার কারণে জেল জরিমাণা, ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা এবং মাস্ক বিহীন ক্রেতাদের কাছে কোন ধরণের পণ্য বিক্রি না করতে দোকানীদেরকে পরামর্শ ও সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন দোকানের সামনে নোক মাস্ক, নো পণ্য, নো মাস্ক নো ফল, নো মাস্ক নো খাবার লেখা ব্যানার ফেস্টুন টানিয়ে দেন। এর আগে তিনি মাস্ক বিহীন পথচারী, রিস্কা, অটো, ভ্যান, ট্রাক, মিনি ট্রাক চালকদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। পরে সাংবাদিকদের সাথে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, মূলত মাস্ক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই এই উদ্দোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান, জয়িতা শিল্পী, ফজলে রাব্বী, হাফিজুল ইসলাম, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার, ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ, পুলিশ পরিদর্শক ফারুক হোসেন, উজ্জল কান্তি সরকার, দুলাল আকন্দ, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফারুক আহম্মেদসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান করোনাকালের শুরু থেকে মাঠে নেমে ব্যাপক প্রচারণা, মাস্ক, সেনিটাইজার বিতরণসহ সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে নানা উদ্দোগ, করোনাকালে পথচারী, বেকার ও নতুন করে হয়ে পড়া বেকার, অসহায়দের মাঝে খুজে খুজে টানা খাবার বিতরণ করে মানবিক পুলিশ সুপার হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। হয়ে উঠেন অপ্রতিরোদ্ধ করোনাযোদ্ধা। সেই করোনাযোদ্ধা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান করোনার দ্বিতীয় দফার ঝুকি থেকে ময়মনসিংহবাসিকে মুক্ত রাখতে উদ্দোগী হয়ে প্রচারণায় মাঠেন নামেন।

টি.কে ওয়েভ-ইন