শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কনওয়েকে ফেরালেন এবাদত, চাপে নিউজিল্যান্ড

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২২
ক্রীড়া প্রতিবেদক || দৈনিক বাহাদুর
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ৪, ২০২২, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলার পর বল হাতেও নিউজিল্যান্ডকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে তুলে নিয়েছে অধিনায়ক টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ের উইকেট। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৭ রান। কিউইরা এখনো পিছিয়ে ৩৩ রানে।

বাংলাদেশকে ৪৫৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ব্যাট করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় সেশনের নবম ওভারে টম ল্যাথামের উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। ইনসাইড এজ হয়ে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। তাতে টানা দুই ইনিংসে ব্যর্থ ল্যাথাম ফিরেছেন ১৪ রান করে।

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন স্বাগতিকদের তিন নম্বরে নামা ডেভন কনওয়ে। তিনি খেলেছিলেন ১২২ রানের ইনিংস। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে বেশিদূর যেতে দেননি এবাদত ও সাদমান। ব্যক্তিগত ১৩ রান করে এবাদতের বলে সাদমানের তালুবন্দি হন কনওয়ে।

এক ওভার পর ইয়াংকে ফেরাতে পারতো বাংলাদেশ। মিরাজের বলে ক্যাচটি নিতে পারেননি উইকেটরক্ষক লিটন। ফলে ৩১ রানে জীবন পেয়ে যান প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের ইনিংস খেলা কনওয়ে।

এর আগে মাউন্ট মঙ্গাইনুয়ে চতুর্থ দিনের খেলায় শেষ চার উইকেটে ৫৭ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। আর তাতেই চারটি ফিফটিতে বাংলাদেশের ইনিংস থামল ৪৫৮ রানে। ফলে ১৩০ রানের লিড নিতে পেরেছে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ১৭৬.২ ওভার ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। যা নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওভার ব্যাটিংয়ের রেকর্ড। নিউজিল্যান্ডে কোনো সফরকারী দল এর চেয়ে বেশি ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে সবশেষ সেই ২০০৯ সালে। সেবার নেপিয়ারে ১৯৩.২ ওভার ব্যাটিং করেছিল পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে ৫৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলায় ব্যাট করতে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইয়াসির ও মিরাজ। দুজন মিলে খেলেন প্রায় ১৬ ওভার। আর তাতেই লিড একশ ছাড়িয়ে যায়। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে টিম সাউদির করা বলে কটবিহাইন্ড হন মিরাজ। এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি রাব্বীও। ৮৫ বল খেলে ব্যক্তিগত ২৬ রানে কটবিহাইন্ড হন তিনিও। এরপর ৫ রানে তাসকিন এবং ৭ রানে ফেরেন শরীফুল ইসলাম। আর শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন এবাদত হোসেন।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। নেইল ওয়েগনার নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া টিম সাউদি দুটি এবং কাইল জেমিসন একটি উইকেট পেয়েছেন।