শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

উজান থেকে নেমে আসা বন্যায়- দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী ও নেতাই নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন অব্যাহত

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : অক্টোবর, ২৬, ২০২০, ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
মোঃ মোহন মিয়া , দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উজান থেকে নেমে আসা বন্যায় দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী ও নেতাই নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন অব্যাহত,আতঙ্কে ১৫ গ্রামের বসতি। সোমেশ্বরী ও নেতাই নদী তীব্রতর হচ্ছে নদী ভাঙ্গনে। সোমেশ্বরী নদীতে বেড়ীবাঁধ না থাকায় আতংকে রয়েছে উপজেলার সীমান্তবর্তী কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বড়ইকান্দি,ভূলিপাড়া, কামারখালী, রানীখং, বিজয়পুর, পৌরসভার, কুল্লাগড়া, শিবগঞ্জবাজার, ডাকুমারা,দক্ষিণ ভবানীপুর সহ কয়েক গ্রামের মানুষ। অন্যদিকে নেতাই নদীর ভাঙনে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দউষান গ্রামের অসংখ্য বসতি সহ বন্দউষান বাজার, মাদ্রাসা,মসজিদ,কবরস্থান নদীতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও টানা বর্ষনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রামবাড়ী লক্ষীপুর সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে জীবনযাপন করছে। সোমেশ্বরী ও নেতাই নদীর অবাধ ভাঙনে বিলীন হতে চলেছে ওইসব এলাকার অসংখ্য স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান।
সাথে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে সর্বহারা অবস্থায় দিন পার করছে বেশক’টি পরিবার। তৃতীয় ধাপে বন্যা হওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ, বিদ্যালয়, ঐহিত্যবাহী রানীখং ধর্মপল্লী। বড়ইকান্দি,ভূলিপাড়া, কামারখালী, রানীখং, বিজয়পুর, পৌরসভার, কুল্লাগড়া, শিবগঞ্জবাজার, ডাকুমারা,দক্ষিণ ভবানীপুর সহ কয়েক গ্রাম রোধে ভাঙন রোধে স্থানীয়রা নিজ অর্থায়নে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ দেয়ার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ৩য় বারের মতো সোমেশ^রী নদীতে বন্যার পানি আসায় গাঁওকান্দিয়া, কাকৈরগড়া,বাকলজোড়া,কুল্লাগড়া, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের আমন ফসলি জমি।
কামারখালীর স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক জানান, নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের দাবীতে বেশ কয়েকবার মানববন্ধন হয়েছে। প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহল থেকে সরেজমিনে তদন্তও করে গেছেন বেশ কয়েকবার, এখন পর্যন্ত কোন স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা জেলার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান সংবাদ কে বলেন, অল্প দিনের ব্যবধানে অত্র এলাকায় পর পর বন্যা হওয়ায় পানির চাপে বেশ কিছু এলাকা ভেঙে গেছে। ইতিমধ্যে অত্র এলাকায় স্থায়ীবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম সংবাদ কে বলেন, সোমেশ্বরী নদীর ভাঙন ঠেকাতে ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদারের ঐকান্ত প্রচেষ্টায় উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক সহ পানি উন্নয়ন রোর্ডের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ নিয়ে স্থানীয় বাঁধ নির্মাণের বড়প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমলেই বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
টি.কে ওয়েভ-ইন