রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঈশ্বরগঞ্জে খালের জায়গা দখল পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ ৫০একর জমি অনাবাদীর আশংকা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
||
  • প্রকাশিত সময় : ফেব্রুয়ারি, ১০, ২০২১, ১১:০০ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জে অপিরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন ও খাল দখলের কারণ জলাবদ্ধতায় প্রায় ৫০একর জমি অনাবাদী থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে। উপজেলা মাইজবাগ ইউনিয়নের মল্লিকপুর এলাকায় বিলের পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ আশংকা দেখা দেয়। এনিয়ে স্থানীয় কৃষকরা কৃষি বিভাগ ও নির্বাহী অফিসারকে দু’দফা লিখিত আবেদন করেও কোন ফল পায়নি। যে কারণে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, মাইজবাগ ইউপির লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের পাশের খাল দিয়ে মল্লিকপুর গ্রামের বিলের পানি নিস্কাশন হতো। বর্তমানে বাজারের সম্প্রসারণ হওয়ায় খালের জায়গা দখল করে ইমারত নির্মাণ করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। যে কারণে লক্ষ্মীগঞ্জ থেকে উচাখিলা রাস্তার খালবার্ডটি বন্ধ হয়ে যায়।
পাশাপাশি খালের জায়গা দখল করে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করে পানি নিস্কাশনের পথ রোধ করা হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমের পানি সড়াতে না পাড়ায় সারা বছরেই লেগে থাকে জলাবদ্ধতা আর পানি উঠে আশপাশের বাড়ি ঘরে।
জলাবদ্ধতা থাকার কারণে প্রান্তিক চাষীরা মৌসুমী ফসলসহ ধান, পাট উৎপাদন করতে পারছে না। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও কাঁদার কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ জনপথ। সরকারের বিভিন্ন সুবিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ।
এলাকার মল্লিকপুর গ্রামের আব্দুল খালেক লিখিত অভিযোগ করে জানান, জলাবদ্ধতা নিরশনের জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি বিভাগকে বার বার জানানোর পরও কোন কাজ হচ্ছে না। পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসক কে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের খালবার্ড পর্যন্ত প্রায় ১৭০ মিটার খাল খনন করা হলে এলাকার পানি নিস্কাশন করা সম্ভব।
মাইজবাগ ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ বলেন, লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের সওজ এর পাশ দিয়ে বউলাই খাল ছিলো। খাল দখলে নিয়ে অপরিকল্পিত পুকুর খনন করে এবং বাজারের অংশে খালবার্ডের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি নিস্কাশনের কোন জায়গা নেই। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তবে সওজ এর খালবার্ডের সাথে নতুন করে ১৭০ মিটার খাল খনন করলেই প্রায় তিনটি গ্রামের পানি নিস্কাশন সম্ভব হবে। তবে সরকারী জমি উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে এলাকায় গিয়ে পরিদর্শণ করা হয়েছে। পরিদর্শণ শেষে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা সময়ের ব্যাপার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, আবেদনটি পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার ভুমিকে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।