শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

অবশেষে পুত্রের পর শতবর্শী আমেনা পেলো বয়স্ক ভাতার কার্ড

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
রফিক বিশ্বাস || নিজস্ব প্রতিবেদক, তারাকান্দা
  • প্রকাশিত সময় : সেপ্টেম্বর, ৬, ২০২২, ৫:১০ অপরাহ্ণ
এনআইডিতে বয়সের সমস্যা থাকার কারণে সরকারের দেওয়া নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন আমেনা খাতুন।
১৯০২ সালে তার জন্ম হয়।জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী ওই বৃদ্ধ’র বয়স ৩৩ বছর। ৩৫ বছর পূর্বে আমেনা খাতুনের স্বামী মারা যায়।
স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সন্তান ও নাতি-নাতনীর সঙ্গে তার বসবাস। জন্মের পরপর  আমেনার বড় দুই ছেলে মারা যায়। এরপরেই জন্ম নিয়েছে বড় ছেলে ইয়াকুব আলী। তার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী বয়স ৮৬ বছর।
স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই সংসার জীবনে অভাব অনটন লেগে আছে ।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় গালাগাঁও ইউনিয়নের দর্জি গাতি গ্রামের সামেদ আলীর স্ত্রী আমেনা খাতুন। পরিবারের সদস্যরা জানান, আমেনা খাতুনের বয়স ১২০ বছর। তিনি গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ।
এ বিষয়ে আমিনা খাতুন জানান,শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো যাচ্ছে না। তবে, লাঠিতে ভর দিয়ে এখনো পায়ে হেঁটে কোনোমতে চলাচল করতে পারেন। সরকারের দেওয়া বয়স্ক ভাতা পেয়ে খুব খুশি ।  তবে, আর কতদিন বাঁচবেন সেটা নিয়েও চিন্তিত তিনি। স্বামী-সন্তান হারানোর বেদনা প্রায়ই তাকে যন্ত্রণা দেয়।। প্রিয়জনদের হারিয়ে দিশেহারা।
 বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রুবেল মন্ডল জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের বয়সের গরমিল থাকার কারণে তাকে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা সম্ভব হয়নি । জাতীয় পরিচয়পত্রের বয়স সংশোধন করা হয়েছে ৬ (সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার সকালে আমেনা খাতুনে’র নিজ বসত  বাড়িতে গিয়ে বয়স্ক ভাতা’র কার্ডটি উনার হাতে প্রদান করি।