ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের কালিবাড়ী এলাকায় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর/২৪) খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বঞ্চিত সুবিধাভোগীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা অভিযোগ করেন, ডিলার তাদের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ জানান, ঘটনাস্থলে খাদ্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার আবুহেনা মোস্তফা কামাল যুগান্তরকে জানান, তিনি ৫৪৭জনের জন্য ১৬হাজার ৪১০ কেজি চাল বরাদ্দ পান। এরমধ্যে ৫০ জনের চাল খাদ্য গুদামে রয়েছে। খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বোরহান উদ্দিন জানান, ডিলারের অনুকূলে ৫৪৭জনের প্রত্যেককে ৩০ কেজি চালের ৫৪৭বস্তা চালেই প্রদান করা হয়েছে। গুদামে তার কোনো চাল নেই। প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানায়, ডিলার তার দোকানে ৪৪৭বস্তা চাল এনেছেন। চাল বঞ্চিত মো. কামাল মিয়া (কার্ড নং ১৮৭০), মো. তারা মিয়া (কার্ড নং ১৮৮৪), মো. আবুল কালাম (কার্ড নং ২২৪৪) জানায়, গতকাল সোমনার এসেও আমরা ঘুরে গেছি, চাল পাইনি। দারিয়াপুর গ্রামের মোছা. লালবানু (কার্ড ১৯৮৪) জানায়, সকাল ৮টায় আসতে বলেছে, সকাল থেকে এখন বিকাল সাড়ে ৪টা বাজে, চাল দেয়নি। দু’শ টাকা নিয়ে যেতে বলে চালের ডিলার। চাল না নিয়ে আমি যাবো না। টাঙাটিপাড়ার আব্দুর রেজ্জাক মিয়া জানান, আগে বলেছে চাল নেই, এখন বলে গুদামে আছে, আবার বলে দু’শ করে করে নিয়ে যেতে। ভাইতাবাজি শুরু করেছে ডিলার। নাহড়া গ্রামের মোছা. আনোয়ারা জানায়, আমাদের চাল ডিলারের ঘরে নেই, কার্ড আছে-তাহলে চাল গেলো কোথায়? এলাকাবাসী অভিযোগ করেন ডিলার ১০০জন কার্ডধারীর ৩হাজার কেজি চাল কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাদ্যগুদামের সহকারী খাদ্য পরিদর্শক ফারুক আহমেদ জানান, ডিলার গুদাম থেকে ৫৪৭বস্তা চাল নিয়েছেন। তার গোডাউনেও সেই চালের বস্তা ছিলো। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাস্থলে আছি। কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো। তদন্ত কাজ চলছে।