ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জল হোসেন খানকে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর/২০২৪) রাতে ময়মনসিংহের শিববাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর/২০২৪) গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ২০জুলাই গৌরীপুরের কলতাপাড়া বাজারে উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চুড়ালী গ্রামের বিপ্লব হাসান, মইলাকান্দা ইউনিয়নের পূর্বকাউরাট গ্রামের জোবায়ের আহম্মেদ ও রামগোপালপুর ইউনিয়নের দামগাঁও গ্রামের নুরে আলম সিদ্দিকী রাকিব হত্যাকাÐের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলাটি দায়ের করেন কৃষকদল নেতা আবুল কাসেম।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম আরও জানান, পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ (রিমান্ড) করার জন্য ৫দিনের আবেদন করে শুক্রবার আদালতে সোর্পদ করা হয়। মোফাজ্জল হোসেন খানের পরিবারের দাবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলতাপাড়ার ঘটনার দিন তিনি গৌরীপুরেই ছিলেন না। হত্যাকাÐের ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রাজনৈতিক কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২০ জুলাই গৌরীপুরের কলতাবাজারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হন। তাঁরা হলেন উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চুড়ালী গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে বিপ্লব হাসান (২০), রামগোপালপুর ইউনিয়নের দামগাও গ্রামের মাওলানা আব্দুল হালিম শেখের ছেলে নূরে আলম সিদ্দিকী ওরফে রাকিব (২০) ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের পূর্ব কাউরাট গ্রামের আনোয়ার উদ্দিনের ছেলে জোবায়ের আহমেদ (২১)।
এ দিকে তিন তরুণ নিহতের ঘটনায় গত ২২ জুলাই গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল আলম বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে প্রথম মামলা দায়ের করেন। এরপরে একই ঘটনায় ডৌহাখলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহŸায়ক আবদুর রহিম আকন্দ ও কৃষক দলের নেতা আবুল কাশেম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলা দুটিতে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। তিন তরুণ নিহতের ঘটনায় প্রথম আসামি হিসেবে গ্রেফতার হলেন মো. মোফাজ্জল হোসেন খান।