জামালপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুন। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এমন সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, জামালপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা বেশিরভাগ সময় দেওয়াল টপকে স্কুল পলায়ন করে। তাদের বাধা দিলেও তারা তোয়াক্কা করে না।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিজন কুমার চন্দ, জামালপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা।
সভা সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষমুখী করতে জামালপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুনের এমন বক্তব্য সভায় উপস্থিত সবার মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা জানান, তিনি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং প্রধান শিক্ষকের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে যদি পুলিশ দরকার হয় তাহলে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের কী ধরনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাত আলী ফকির যুগান্তরকে জানান, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার এবং জামালপুর জিলা স্কুল একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। কতটুকু খারাপ অবস্থায় চলে গেলে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রধান শিক্ষক পুলিশের তদারকির দাবি করেন তা প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে স্পষ্ট বুঝা যায়। আমি সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পুলিশ নয়, শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সুষ্ঠু তদারকির দাবি করছি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুন মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, তিনি সভায় বলেছেন- স্কুল চলাকালীন কিছু শিক্ষার্থী বাইরে অবস্থান করে, পুলিশি টহল জোরদার করা হলে বাইরের শিক্ষার্থীরা স্কুলের ভেতরে যাবে। সভায় উপস্থিত যারা ছিলেন তারা আমার বক্তব্য শুনতে বা বুঝতে ভুল করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান যুগান্তরকে জানান, প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য শুনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন পুলিশের সহযোগিতা লাগবে এ বিষয়ে শিক্ষকদের নিয়ে দ্রুত সভা আহবান করার নির্দেশ দিয়েছি।