ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শনিবার (৮ জুন /২০২৪) কুরবানীর গোহাটায় ছোট-বড় অসংখ্য গরু আসে। হাটে ছোট গরুর আধিক্য দেখা যায়। দুপুরের পর থেকে পুরো হাটে ছিলো উপচেপড়া ক্রেতাদের ভিড়ও। তবে দরদামে যাছাই-বাচাইয়ে কেটে গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দিন। কুরবানীর প্রথম গোহাটায় ক্রয়-বিক্রয় তেমন হয়নি।
গোখাদ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি ও ওষুধদেরও দাম বেড়েছে। ফলে বিক্রেতাদের লালন-পালনের ব্যয় বাড়ায় বেড়েছে গরুর দাম। এমনটাই জানান গরু বিক্রেতা উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের কমল মিয়ার পুত্র জাফর আলী। তিনি আরও বলেন, যে টাকা গরু পালনে ব্যয় হয়। এখন সেই টাকা দামও হয় না। তার গরুর মূল্য হাঁকিয়েছেন ১লক্ষ ৯০হাজার টাকা। এ পর্যন্ত ১লক্ষ ৬০হাজার টাকা ক্রেতারা বলেছেন। উপজেলা মাওহা ইউনিয়নের মাওহা গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র আল আমিন জানান, তিনি ১লক্ষ ১০হাজার টাকা দাম চাচ্ছি। এ পর্যন্ত ৮০হাজার টাকা গ্রাহকরা বলেছেন। ডৌহাখলার ইদ্রিস আলীর পুত্র শৈরত আলীর গরুর মূল্য দাবি করছেন ১লক্ষ ১০হাজার টাকা। দাম হয়েছে ৯০হাজার টাকা। রামনগরের মৃত তমিজ আলীর পুত্র কারিম উদ্দিনের গরুর ১লক্ষ ২০হাজার টাকা দাম চাচ্ছেন। এ পর্যন্ত ৯৫হাজার টাকা হয়েছে। রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধুরুয়া গ্রামের মৃত সাদির উদ্দিনের পুত্র হলুদ মিয়া জানান, তিনি ১লক্ষ ৯০হাজার টাকা দাম চেয়েছেন। এ পর্যন্ত ১লক্ষ ৬০হাজার টাকা হয়েছে। রামগোপালপুরের নুরুল ইসলামের পুত্র শহিদুল্লাহ জানান, তিনি ১ লক্ষ ৩০হাজার টাকা দাম চেয়েছেন। এ পর্যন্ত ১লক্ষ ১০হাজার টাকা দাম হয়েছে। পুম্বাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মোখলেছুর রহমান জানান, তিনি ৯০হাজার টাকা দাবি করছেন, ক্রেতারা ৭০হাজার টাকা বলেছে। বিশ^নাথপুর গ্রামের আবুল কালামের পুত্র রাজিব মিয়া জানানম তিনি ১লক্ষ ৮০হাজার টাকা চেয়েছেন, দাম হচ্ছে ১ লক্ষ ৩০হাজার টাকা। বোকাইনগর ইউনিয়নের গোবিন্দনগর গ্রামের বিক্রেতা আব্দুল বারেক বলেন, পশুর খাদ্যের অনেক দাম। সেই তুলনায় গরুর দাম বাড়েনি। একই অভিযোগ করেন খামারী আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, লাভের আশায় সারাবছর গরু লালন-পালন করি। বিক্রির সময় সেই আশা- নিরাশায় পরিণত হয়। যে বাছুর কেনেছি ৪৫হাজার টাকায়। দু’বছরে খাওয়ানোর খরচসহ প্রায় দেড়লাখ টাকা। এখন বাজারে ১লাখ ৩০/৪০হাজার টাকার বলছে। স্কুল শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম জানান, ছোট গরুর দাম কম; বড় গরুরও দাম কম আছে, তবে মধ্যম সাইজের মধ্যবিত্ত পরিবারের ১লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরুগুলোর দাম একটু বেশি। ক্রেতা ডৌহাখলা ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রজব আলী বলেন, প্রথম কুরবানীর হাট দাম-টাম যাছাই করছি। কিনবো আরো পরে, এবারও গরুর দাম অনেক বেশি। গরু বিক্রেতা আইনুল হক বলেন, পুরো এলাকা জুড়ে তো গরু আর গরু। উপর থেকে দেখেন ক্রেতাও কম না। তবে ২/১টা গরু বিক্রি হলেও এ বাজারে তেমন ক্রয়বিক্রয় নেই।####