ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার (৬জুন/২৪) ভোর ৪টায় ছেড়ে যাওয়া বাসযাত্রীদের ময়মনসিংহ ব্রিজের নামিয়ে দেন বাস মালিক সমিতি নেতৃবৃন্দ। এতে গৌরীপুরের যাত্রীরা ঢাকায় অফিস ধরতে পারেননি, ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় আটকে থাকায় যাত্রীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষুব্দ যাত্রীরা এ সময় বাসের চালক ও হেলপাড়কে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ বাসের যাত্রী পৌর শহরের পাছারকান্দা গ্রামের সুরুজ আলী জানান, আমরা দীর্ঘক্ষণ বাসের মধ্যেও আটকে ছিলাম। বিষয়টি সুরাহা আগেই করতে পারতো। যাত্রীদেরকে আটকে রেখে পরিবহন মালিকদের এ আচরণ মেনে নেয়া যায় না। অপরযাত্রী শফিকুল ইসলাম জানান, যে বাসটি গৌরীপুর থেকে ছেড়ে আসলো, সেই বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে পুরো গৌরীপুরবাসীকে অপমানিত করেছে মালিক সমিতি। এ প্রসঙ্গে নেটিজেনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় তুলেছেন।
যাত্রী ও মালিক সমিতির এ আচরণে ক্ষুব্দ বাসের মালিক, শ্রমিক ও এলাকাবাসী ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় রাস্তার দু’দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ মো. সুমন মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি এ সময়, আন্দোলনকারীদেরকে দাবি পূরণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রæত সমাধানের আশ^াস দেন। ফলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে।
গৌরীপুরের বাস মালিক ও পৌরসভার কাউন্সিলর মো. নুর ইসলাম জানান, গত ৩দিন আগে ময়মনসিংহ মালিক সমিতি চিটি দিয়েছে গৌরীপুর থেকে ৪টায় আরেকটা বাস সার্ভিস চালু করবে। আজকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে চলাচলকারী গৌরীপুরের এমকে সুপার একটি বাস ও হালুয়াঘাট থেকে চলাচলকারী গৌরীপুর মালিকদের আরেকটি বাস আজ আটকে রাখা হয়েছে। ঢাকার উদ্দেশ্যে ভোর ৪টায় গৌরীপুর থেকে নিয়মিত একটি বাস চলে। ময়মনসিংহ মালিক সমিতিও একই সময়ে গৌরীপুরে আরেকটি বাস চালু করতে চাচ্ছে। এতে বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যাত্রীদের নামিয়ে দেয়ায় চালক-হেলপাড় যাত্রীদের নিকট লাঞ্চিত হয়েছেন। শ্রমিকরা এ ঘটনার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে।
তিনি আরও জানান, গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের আশ^স্ত করেছেন, বিষয়টির সমাধান করবেন। এ আশ^াসে শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।