আজ শনিবার ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
২টি মামলা দায়ের : গ্রেফতার-৩ ॥ তিন নিহতের ঘটনায় এখনো থমথমে গৌরীপুর! কোটা সংস্কার আন্দোলনে অর্ধ শতাধিক সাংবাদিক হতাহত হয়েছে: বিএমএসএফ এবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী গৌরীপুরে যুব সমাজের উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে পাঁচশত গাছের চারা রোপন গৌরীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ তারাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনডোর আড়াই বছরেও চালু হয়নি সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাপা’র প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদ স্মরণে গৌরীপুরে শোকর‌্যালি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল তারাকান্দায় ডাকাত গ্রেপ্তার ঢাকা মেডিকেলে লাঠি নিয়ে ছাত্রলীগের শোডাউন, শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা
এম এ আজিজ || প্রধান প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ২৭, ২০২৪, ৫:১৩ অপরাহ্ণ




সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে-ধর্মমন্ত্রী

ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, আবহমানকাল ধরে বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে। সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয় এবিষয়ে সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
 শনিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্টের আয়োজনে ময়মনসিংহের টাউন হলে ময়মনসিংহ বিভাগের পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ধর্মমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য ছিলো শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা যেখানে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার। এরূপ অভিপ্রায় থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধিকার আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।
সমাজ গঠনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি আরো  বলেন, সমাজে সকল ধর্মের মানুষের কাছেই নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে, সম্মান করে। বিভিন্ন পরামর্শের জন্য তাদের দারস্থ হয়। তাদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলে। এই শ্রেণির মানুষগুলোকে আমরা যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যদি তাদেরকে আরেকটু শানিত বা দক্ষ করে তুলতে পারি তাহলে দেশ ও জাতি অনেক বেশি উপকৃত হতে পারে।
পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাই পারেন আপনাদের কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর। পাশাপাশি তাদেরকে আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। সামাজিক ব্যাধি বিশেষ করে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাশক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল, মজুতদারীর মতো ব্যাধি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এসকল বিষয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের অগ্রণী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিত ও সেবাইতদেরকে  আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, অন্যদিকে সামাজিক সমতার ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটবে। এছাড়া যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রমের বিকাশ ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হলে দেশ ও জনগণের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপুর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হবে। জাতীয়তা ও  ভাতৃত্ববোধ দৃঢ় ও অটুট হবে। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বেগবান হবে।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হবে। এছাড়া, ভাতাপ্রাপ্ত পুরোহিত ও সেবাইতরা কিভাবে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন সেই সাফল্যগাঁথাও সবাই জানতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে সকলের মধ্যে অনুপ্রেরণা বা প্রেষণা সৃষ্টি হবে। আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাব।
বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু, রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর শিখা চক্রবর্তী, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ইঞ্জিনিয়ার রতন কুমার, অঙ্কন কর্মকার, উত্তম চক্রবর্তী রকেট, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিকাশ রায় প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর অধীনে এ সম্মেলনে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাতটি জেলার পুরোহিত ও সেবাইতরা অংশগ্রহণ করেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরোহিত ও সেবাইত প্রশিক্ষণ দারিদ্র্য বিমোচনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১