বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্রঋণ দাতা প্রতিষ্ঠান ব্র্যাককে জিরো-কুপন বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি -এমআরএ। এর ফলে ব্র্যাক প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করতে পারবে। এটি হবে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণের ইতিহাসে বেসরকারি সংস্থার প্রথম জিরো কুপন বন্ড। এর আগে গত ৩ ফেব্রয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্র্যাককে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন দেয়। শনিবার ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার এমআরএর নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার তুষার ভৌমিকের কাছে বন্ড ইস্যুর অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমআরএ’র নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মণ চন্দ্র দেবনাথ, পরিচালক মুহাম্মদ মাজেদুল হক ও মো. নূরে আলম মেহেদি এবং ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক অসিত বরণ দাস।
জিরো-কুপন বন্ড হচ্ছে এক ধরনের ঋণ সিকিউরিটিজ, যার কোনো সুদহার থাকে না। ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে যা ইস্যু করা হয় এবং বিনিয়োগকারী মেয়াদ শেষে অভিহিত মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ পায়। ব্র্যাকের জিরো-কুপর বন্ডের মেয়াদ হবে দেড় থেকে পাঁচ বছর। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, করপোরেট এবং সম্পদশালী ব্যক্তিরা ১ কোটি টাকার একাধিক গুণিতক দিয়ে এই বন্ড কিনতে পারবেন। এই ইস্যুর লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে আরএসএ অ্যাডভাইজরি লিমিটেড এবং ট্রাস্টি হিসেবে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড কাজ করছে।
ব্র্যাকের সিএফও তুষার ভৌমিক বলেন, এতদিন গ্রাহকের সঞ্চয় এবং ব্যাংকের ঋণ ছিল ব্র্যাকের তহবিলের প্রধান উৎস। এখন বন্ড ইস্যু ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের তহবিলের বিকল্প উৎস হিসেবে যোগ হলো। এটি ক্ষুদ্রঋণ খাতের জন্য একটি বিরাট স্বীকৃতি।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, বন্ডগুলোর মাধ্যমে ব্র্যাকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিতে বিনিয়োগের জন্য নন-লেন্ডার প্রতিষ্ঠানের পথ খুলবে। ব্র্যাক আশা করে, এই বন্ড সাশ্রয়ী আর্থিক সমাধান খোঁজা মানুষদের, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নতিতে কার্যকরভাবে সাহায্য করবে।