শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

হালুয়াঘাটে হরিপদ রিছিল গীতরঙ্গ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : ফেব্রুয়ারি, ১০, ২০২০, ১:১৮ অপরাহ্ণ

মোঃ রফিকুল ইসলাম : গবেষণা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আদিবাসী জাতিসত্তার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বিশ্ব পরিসরে মেলে ধরার মুল লক্ষ ও উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে মেঘালয় গারো পাহাড়ের কোল ঘেষা সীমান্ত জনপদ ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ছায়া সুনিবিড় গ্রাম আসকিপাড়ার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী গারো জনপদের প্রবাদ পুরুষ হরিপদ রিছিলের নামানুসারে তাঁর নিজ ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হলো হরিপদ রিছিল দাকবেওয়াল নক আরোবা বেওয়াল সানদিয়ানি বিয়াপ (হরিপদ রিছিল গীতরঙ্গ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণা কেন্দ্র)। হরিপ্রেম ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হবে স্বাধীন এ গীতরঙ্গ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণা কেন্দ্র।

প্রয়াত হরিপদ রিছিলের ১১১তম জম্মবার্ষিকী ও হরিপদ রিছিল গীতরঙ্গ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (৯ ফেব্রুয়ারী) ট্রাইব্যাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ভদ্র ম্রং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি মতেন্দ্র মানকিন, গবেষক ও প্রাবন্ধিক জেমস জর্নেশ চিরান, সাহিত্যক ও ইতিহাসবেত্তা তর্পন ঘাগ্রা, স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম সুরুজ মিয়া, বিশিষ্ট গবেষক, শিল্পী, ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহাকারি অধ্যাপক তরু শাহরিয়ার স্বর্গ প্রমূখ।

হরিপদ রিছিলের পূণ্য স্মৃতির স্মরণে এ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণা কেন্দ্রটিতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি, গীত, বাদ্য, নৃত্য, চিত্রকলা সহ সামগ্রিক গীতরঙ্গ অধ্যয়ন ও গবেষণার চর্চা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে এখানে নাট্যকলা, চারুকলা, সংগীত, নৃত্যকলা, ভাষা অধ্যয়ন, গবেষণা অধ্যয়ন বিভাগে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে। এ বিদ্যায়তনে শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের নিমিত্তে নির্ভয় ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ভাষা অধ্যয়ন বিভাগের মাধ্যমে একটি বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। এতে করে বছরে একশত শিশু মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের সুযোগ পাবে। হরিপদ রিছিল গীতরঙ্গ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণা কেন্দ্র,র পরিচালনায় থাকছে গারো নাট্যদল, প্রেমলতা নাটমন্দির, প্রতিভা চিসিম চিত্রশালা, আইজান গারো যাদুঘর। দেশ বিদেশের শিল্পী, গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ প্রতিষ্ঠান তেমনটিই জানা যায়।