আজিকার সূর্যাস্তটা আমায় জানিয়ে গেলো
আলো আঁধারী খেলায় আর পারিনা তোমার সাথে,
তোমার অবহেলায় কেবল বুড়িয়ে যাই
তুমি খেলো যৌবন তরঙ্গে অভিসারের রাতে।
আমার কবিতাগুলো বার বার মরে যায়
তোমার নিত্য অনাদরে,
হিসাব রাখিনি কতদিন তুমি
রেখেছো আমায় অনাহারে!
তোমায় নিয়ে মঙ্গলগ্রহে
অভিবাসন ব্যয়ের অংক কষি,
হিসাবের সরকার ঘোষনা দিলো-
সঞ্চয়ের চেয়ে দেনাটাই বড্ড বেশী।
আশা নিরাশার দোলাচলে
খেলাঘর বানাই তপ্ত বালুকার চরে,
কল্পিত বাসর সজ্জা সাজাই
কোন এক জনশুন্য তেপান্তরে।
অনর্গল আতশবাজি,পটকা ফাটানোর শব্দ,
বাজছে সানাই চারদিকে,
আর রোদ ঝলমল ঝুল বারান্দায়
তুমি দোল খাও মনের সুখে ।
এই কি সেই তুমি? যাকে খূঁজেছিলাম
আকাশের তারায় তারায়,
বিজলির ঝলকে, পলকে ছলকে
আমাকে হাসায় কাঁদায়!
আমাকে পৌঁছাবে না তোমার শ্রী নিবাস,
অথবা নতুন কোন বন্দরে প্রত্যাশার!
কতক দীর্ঘশ্বাস আর কতক হা হুতাশ
এভাবেই তো বছরটা হয়ে গেল পার !!
তবুও পাওয়া না পাওয়া আর
আশা নিরাশার দোলাচলে,
আগামী বছরটা আবার করবো শুরু
নতুন হালখাতার খাতা খুলে।