আজ বুধবার ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
||
  • প্রকাশিত সময় : মে, ১০, ২০২১, ১২:৪৪ অপরাহ্ণ




স্বামী বাড়ি যাওয়ার পথে দুর্গম চরে সন্তান জন্ম দিলেন সুমা

বাহাদুর ডেস্ক:

মো. নাহিদ মিয়া ও সুমা বেগম আক্তার দম্পতি। তারা ঢাকার লালবাগে বসবাস করেন। অন্তঃসত্ত্বা সুমা বেগম ঈদকে সামনে রেখে রওনা হয়েছিলেন স্বামীর বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে।সঙ্গে স্বামীও ছিলেন। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ট্রলারে পদ্মানদী পাড়ি দেওয়ার সময় দেখেন কঠোর কড়াকড়ি চলছে। তখন জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবার পাইনপাড়া পদ্মা নদীর চরে জোরপূর্বক ট্রলার চালক তাদের নামিয়ে দেন। সেখান থেকে ২ কিলোমিটার হাঁটার পর প্রসববেদনা ওঠে সুমার। তখন চরের একটি বাড়িতে নেওয়া হয় সুমাকে। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন ওই নারী।

সন্তান প্রসবের পর স্থানী লোকজন মাঝির ঘাটের আবদুর রাজ্জাক মাতব্বরকে খবর দেয়।তিনি এসে ফোন করেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশ্রাফুজ্জামান ভূঁইয়াকে। তখন ইউএনও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানকে বিষয়টি জানান। পরে তারা স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠিয়ে নৌ অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই প্রসূতি ও নবজাতককে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে আনেন। সন্ধ্যার দিকে তাদের সেখানে ভর্তি করা হয়। সেখানে মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কাপড়, শিশুর দুধসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করা হয়।

সোমবার মা ও নবজাতককে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকরা দেখবেন। তারা সুস্থ থাকলে নৌ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে তাদেরকে বরিশালের হিজলা পৌঁছে দেওয়া হবে।

জাজিরা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জানান, ১১ জুন তার (সুমা) সন্তান জন্ম নেওয়ার কথা ছিল। এ কারণে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নাহিদ তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে পদ্মার চর দিয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার হাঁটার পর সুমার প্রসববেদনা ওঠে।তখন পাইনপাড়ার বাসিন্দারা তাদের পাশে দাঁড়ান। ওই গ্রামের নারীদের সহায়তায় সুস্থভাবেই সুমা সন্তান প্রসব করেন।

ইউএনও আরও জানান, তারা বুঝতে পারেননি পদ্মা নদীতে কোনো নৌযান চলে না। নাহিদ মিয়ার বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে।দেড় বছর আগে সুমাকে বিয়ে করেন নাহিদ।ঢাকার লালবাগ এলাকার একটি স্টিলের ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করেন নাহিদ। এটা তাদের প্রথম সন্তান।সোমবার জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মা ও শিশুটিকে চিকিৎসক দেখিয়ে তাদের বাড়ি বরিশালে পৌঁছে দেওয়া হবে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, বরিশালের এক নারী চরের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন খবর পেয়ে নৌ অ্যাম্বুলেন্সসহ লোকজন পাঠাই। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি। তারা দুজনই সুস্থ আছেন।

মো. নাহিদ মিয়া বলেন, ঢাকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন আগামী মাসের (জুন) ১১ তারিখে আমাদের সন্তান হবে। এ কারণে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলাম। পদ্মা পারে এসে দেখি কোনো নৌযান চলে না। পরে একটি ট্রালারে উঠি।কিন্তু ট্রলার চালক আমাদের জাজিরার পাইনপাড়া নামিয়ে দিয়ে বলে একটু হাঁটলেই ফেরি। এরপর আমাদের জোর করে নামিয়ে দেয়। আমরা প্রায় দুই কিলোমিটার হাঁটার পর আমার স্ত্রীর প্রসববেদনা ওঠে। তখন গ্রামবাসী আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

 

টি.কে ওয়েভ ইন




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০