শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম.এ মুকতাদিরের আজ ৭৫তম জন্মদিন আজ

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
তাসাদদুল করিম || ওয়েব ইনচার্জ, দৈনিক বাহাদুর
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ২৪, ২০২৩, ৬:২০ অপরাহ্ণ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান দেশবরেণ্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা ডা. এ.কে.এম.এ মুকতাদির এর আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি/২৩) ৭৫তম জন্মদিন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে বিনামূল্যে হতদরিদ্র, অসহায় ও চিকিৎসাবঞ্চিত ৫৭৫জনের ছানি অপারেশন সম্পন্ন করবেন ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতাল। তিনি চিকিৎসায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২০সনে দেশের সর্বোচ্চপদক স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।

জন্মদিন উপলক্ষে ময়মনসিংহের গৌরীপুর ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ একাডেমী অফ অর্থালোমোলজি ও বাংলাদেশ ইউবিয়া সোসাইটি’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। গৌরীপুরে তার পিতা আব্দুল ওয়াহেদ মেমোরিয়াল নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, ডা. মাহমুদা খাতুন হাফেজিয়া মাদরাসার সভাপতিসহ একাধিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডা. এ.কে.এম.এ মুকতাদিরের বিনামূল্যে এ চিকিৎসা কার্যক্রমের জন্য তিনি ২০১৬সালের ২২অক্টোর তিনি ভারতের তিরুচিরাপল্লীতে এ্যাসোসিয়েশন অফ কমিউনিটি অফথ্যালমলোজি ইন ইন্ডিয়া আয়োজিত অনুষ্ঠানে লাইফ টাইম এ্যাচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, চক্ষু চিকিৎসা ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৪ সালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ্যাওয়ার্ড, ২০০২সালে লায়ন্স এফ্রিসিওয়ান এ্যাওয়ার্ড, ২০০৫সালে এএফএও কর্তৃক ডিসটিংগোয়িং সার্ভিস এ্যাওয়ার্ড, একেদাস এ্যান্ডওমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, ২০১৫সালে ভারতে গোল্ডমেডেলসহ দেশ ও বিদেশে ১৯টি এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। তিনি ও তারই সহধর্মিণী ডা. মাহমুদা খাতুনের সহযোগিতায় গড়ে উঠে ডাঃ মুকতাদির চক্ষু হাসপাতাল।

অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা ডা. এ.কে.এম.এ মুকতাদির জানান, মানুষের জন্য, মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও বেঁচে থাকার তাগিদ অনুভব করি। সেবাব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছিলাম। সেই পেশায় লাখো লাখো মানুষকে সেবা দিতে পেরে আমি গর্ব অনুভব করি। এ সেবা ও মানুষের কল্যাণে যেন কাটিয়ে যেতে পারি তার জন্য সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।

তিনি ও তার সহধর্মীনী অধ্যাপিকা ডা. মাহমুদা খাতুনের সহযোগিতায় নিজ জন্মভূমিতে ২০০৪সনে গড়ে তোলেন ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতাল। তাঁরই অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তোলা হাসপাতালটিতেও ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। তিনি ১৯৭৭সন থেকে ২০০৩ইং সন পর্যন্ত গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন ক্যাম্পে ৯হাজার ৫শ ৩৫জনের অপারেশন সম্পন্ন করেন। এই হাসপাতালে ১৫ বছরে বিনামূল্যে চোখের জ্যাতি ফিরে পান ৭হাজার ৯শ ৪৬জন। দৈনন্দিন অপারেশন করা হয়েছে ছানি অপারেশন ৩২হাজার ২শ ১৯জন, নালি অপারেশন ৪হাজার ১৭৮জন, চোখের মাংস বৃদ্ধির অপারেশন ১হাজার ৯২৮জন, গেøাকোমার ১হাজার ৯৫২জন, নেত্রনালির ১হাজার ৯৪৮জন, চোখে পাথর সংযোজন ৬১২জন, চোখের পাতার অপারেশন ৬৮৯জন, গুটি অপারেশন ৪৮৭জন, টিউমার অপারেশন ৫৯৮জন, টেরা চোখ অপারেশন ৮২জন।