২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় আততায়ির হাতে খুন হন।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলেও ৮ বছরেও ৪৮ ঘন্টার হিসেব মেলেনি।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় চারদিনের মাথায় মামলার তদন্তভার থানা পুলিশ থেকে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাস ধরে তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়।
পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল তদন্তভার দেয়া হয় র্যাবকে। হত্যাকান্ডের পর থেকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ধার্য করা ৭১টি তারিখ পার হলেও আলোর মুখ দেখেনি প্রতিবেদন।
দেয়া হয়েছে নতুন তারিখ। তবে, তাতেও প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখবে কি-না তা নিয়ে সন্দিহান সাংবাদিক মহল। তদন্তে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে রিপোটার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সমাবেশে তারা ক্ষোভ ও হতাশা জানান। বলেন, দ্রুততম সময়ে এ হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা না হলে, আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা হারাবে। এসময়, মোবাইল ফোনে সাগরের মা-ও যোগ দেন। তিনি তার ছেলে ও পুত্রবধুকে হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন।