ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মোঃ হারুন অর রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশ অসম্প্রদায়িক দেশ। এই অসম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়ার লক্ষ নিয়ে আজীবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। সম্প্রীতির দেশ হিসাবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে অনন্য উদাহরণ। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২১ উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের আয়োজনে ময়মনসিংহ রেঞ্জের আওতাধীন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে আইন শৃংখলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় রবিবার দুপুরে সভাপতির বক্তব্যে ডিআইজি এ সব কথা বলেন।
ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে রেঞ্জ অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা আফরোজ লাকির সঞ্চালনায় সভায় ডিআইজি হারুন অর রশিদ আরো বলেন, আমরা কারো উপর নতুন কোন নিয়ম চাপাতে চাই না। সকল আচার অনুষ্ঠানশেষে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বিসর্জন দিতে হবে। এছাড়া প্রতিটি বড় পূজামন্ডপের নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দির বা পূজা কমিটির উদ্যোগে সিসি টিভির ব্যবস্থা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের চাহিদা পুরণে জেনারেটরের ব্যবস্থা, ভলান্টিয়ারের ব্যবস্থা করতে হবে। আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সকল ধরণের সহযোগীতা করা হবে। জরুরী প্রয়োজনে ৯৯৯ এ কথা বলতে আহবান জানিয়ে ডিআইজি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি অনেকটা কমেছে। তবে শেষ হয়নি। এ জন্য প্রতিটি মন্দিওে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধির উপর নজরদারি রাখতে হবে। পুলিশ সুপারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনী যাতে দর্শনার্থীদেও সাথে অশুভ আচরণ না করে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।
অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ধর্মাচারে উশৃংলতা ও মাদকের সুযোগ নেই। যে ধর্ম এক অংশ অপর অংশের সাথে বিবাদ কওে তা ধর্ম নয়। ধর্মাচার আর লোকাচার গুরুত্ব দিয়ে মানতে হবে। সভায় ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান বলেন পূজা মন্দিও ও পূজারীদের নিরাপত্তার জন্য যা প্রয়োজন তাই করা হবে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে সকলকে বিসর্জন দিতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
এছাড়া সভায় ময়মনসিংহে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড রাখাল চন্দ্র সরকার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এড বিকাশ রায়, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা শংকর সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি সুমন ভৌমিক, ময়মনসিংহ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সুজিত বর্মণ, নারী শক্তি পূজা উদযাপনের সুচিত্রা সেন, জামালপুরের সিদ্ধার্থ শংকর রায়, বিনয় কুমার সাহা, মঙ্গল চন্দ্র সাহা, শেরপুরের সুদীপ্ত পাল, যাদব চন্দ্র ঘোষ, বক্তব্য রাখেন।
সভায় জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন আহাম্মদ, শেরপুরের পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী, নেত্রকোণার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সিসহ রেঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের উর্দ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, রেঞ্জের আওতাধীন বিভিন্ন জেলা, ময়মনসিংহ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য রেঞ্জে এ বছর ১৬৩৭টি মন্দির ও মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গত বছরের চেয়ে ৪১টি বেশি বলে জানা গেছে।
ময়মনসিংহে ডিবির অভিযানে ২৪০ গ্রাম হেরোইনসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহে জেলা গোয়ান্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে আলোচিত ৫ হেরোইন ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন নারী মাদক ব্যবসায়ী। তাদের কাছ থেকে ২৪০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার পৃথক অভিযান তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবির ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামানের নির্দেশে মাদকমুক্ত ময়মনসিংহ গড়তে ডিবি পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসাবে শনিবার এসআই শামীম আল মামুন সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ বিভাগীয় নগরীর জিলা স্কুলের সামনে তিন নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ২শত গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। মাদক ব্যবসায়ীরা হলো, তারাকান্দার হরিপুর নামাপাড়া বর্তমান মোহাম্মদ আলী রোডস্থ জনৈকা ডাঃ মেহনাজ তাবাসসুম এর বাসা ভাড়াটিয়া রোজিনা আক্তার রোজি (স্বপ্না), কোতোয়ালীর ভবানীপুরের মোছাঃ নাজমা আক্তার ও নান্দাইলের মোছাঃ হাসনা বেগম।
অপর অভিযানে এসআই সোহরাব আলী সংগীয় অফিসার দিঘারকান্দা বাইপাস থেকে আরো দুই হেরোইন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। তাদেও কাছ থেকে ৪০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। মাদক ব্যবসায়ীরা হলো, মুক্তাগাছার ঘাটুরীর উজ্জল মিয়া ও মোঃ শরিফ। গ্রেফতারকৃতদেও বরাত দিয়ে ওসি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ নগরীতে পাইকারী ও খুচরা হেরোইন ব্যবসা করে আসছে। হেরোইন উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। রবিবার তাদেরকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।