শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৩তম: টিআই

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২
বাহাদুর ডেস্ক || ওয়েব-ইনচার্জ
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ২৫, ২০২২, ৪:৪৫ অপরাহ্ণ

বিশ্বের ‘সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। মঙ্গলবার বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির প্রকাশ করা ‘দুর্নীতির ধারণা সূচকে’ (সিপিআই) এ তথ্য উঠে এসেছে।

মূলত ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম, যা ২০২০ সালের তুলনায় এক ধাপ উন্নতি। তখন ছিল ১২তম। তবে স্কোর আগের মতোই ২৬। খবর ডয়েচে ভেলের

এ তালিকায় ওপরের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম। ২০২০ সালে ওপরের দিক থেকে ছিল ১৪৬তম। এ তুলনায় দেশটি এক ধাপ নিচে নেমেছে।

এবারও ১০০-এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ২৬। গত চার বছর ধরে একই স্কোর বাংলাদেশের।

সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় অর্থাৎ তালিকাটির উপরের দিক থেকে এক নম্বরে রয়েছে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। এদের স্কোর যথাক্রমে ৮৮। এর পরে রয়েছে নরওয়ে, সিঙ্গাপুর ও সুইডেন। দেশ তিনটির স্কোর ৮৫।

তালিকাটির একদম নিচে বা ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশ দক্ষিণ সুদান। দেশটির স্কোর ১১। এর পরে রয়েছে সিরিয়া ও সোমালিয়া। তাদের স্কোর ১৩। এছাড়া ১৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভেনেজুয়েলা। মূলত এদিক থেকেই ১৩তম বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বাংলাদেশ। একমাত্র আফগানিস্তানই রয়েছে বাংলাদেশের নিচে। তবে দেশটির স্কোর ১৬, যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশ কম।

পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও মিয়ানমারের স্কোর রয়েছে ২৮। তবে ভারতের স্কোর ৪০। এদিকে একই স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে মাদাগাস্কার ও মোজাম্বিক।

মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অঙ্গ সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত চার বছর ধরে বাংলাদেশের স্কোর ২৬ রয়ে গেছে। যা হতাশাব্যঞ্জক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্কোর বাড়েনি, কমেওনি। গত দশ বছরের হিসাবে একই পর্যায়ে আছে। টিআই এবারের সূচকে দুর্নীতি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিবেচনায় এনেছে বলেও জানান তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অবাধ দুর্নীতি, সচ্ছতা, জবাবদিহিতা না থাকা, সরকারের দুর্নীতি বিরোধী শূন্য সহিষ্ণুতার ঘোষণা বাস্তবায়ন না করা, সরকার পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের একটি অংশের দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে জড়িত না করার ব্যর্থতার কারণে এ দেশে দুর্নীতি বেড়েছে।