শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহ রেঞ্জে ১১ পুলিশ কর্মকর্তা উত্তম ও দায়িত্বশীলতার জন্য পুরস্কৃত

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : মার্চ, ১৪, ২০২০, ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥

উত্তম, ভাল কাজ ও দায়িত্বশীলতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ এবং হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ দ্রুততম সময়ে জড়িদদের গ্রেফতার করার সফলতা অর্জন করায় ময়মনসিংহ রেঞ্জের ১১ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সম্মেলন কে ফেব্র“য়ারি মাসের মাসিক অপরাধ সভায় তাদেরকে এই পুরস্কার প্রদান করেন রেঞ্জ ডিআইজি।

সভায় ৬টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করাহয়। পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন এসএম আশরাফুল আলম, ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আল আমিন, ময়মনসিংহ ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ফারুক আহমেদ, ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ, নেত্রকোণা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হাসান। এছাড়া গুরুতর ঘটনা প্রতিরোধে দায়িত্বশীলতায় দৃর্গাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শারমীন সুলতানা নেলী

জাতীয় জরুরি সেবা “৯৯৯” থেকে কল প্রাপ্তির েেত্র দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছা সংক্রান্তেতারাকান্দা থানার এসআই রুবেল রানা, শ্রেষ্ট মাদক উদ্ধারকারী হিসেবে শেরপুর ডিবির এসআই মাজহারুল ইসলাম, গ্রেফতারী পরোয়ানা নিষ্পত্তিকারী অফিসার হিসাবে ভালুকার এসআই মতিউর রহমান এবং দ অফিসার হিসাবে নকলার এসআই মোঃ সুরুজ্জামানকে পুরস্কৃত করা হয়।

ময়মনসিংহ পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, এক নারী গণধর্ষণের ৬ মাস পর মুক্তাগাছা থানায় মামলা ফ’ ১৬(১)২০২০ দায়ের হলে মামলার মূলহোতাসহ চারজনকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ। ঘটনার ৬ মাস পর ৫জনের নামে গণধর্ষণ মামলা হলে রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদের নির্দেশনায় ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের নেতৃত্বে সদসর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দের পরিকল্পনায় ডিবির পুরিশ পরিদর্শক তদন্ত ফারুক আহমেদ ঘটনার মূল হোতা সাইফুল ইসলাম শাকিলকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, নাঈম নামের আকেরজনসহ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠাকালে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে হোসেন আলী ওরফে মনিরকে গ্রেফতার করে। এছাড়া অটো চালক আঃ হাই হাইয়্যুকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে সাইফুল ইসলাম শাকিল, হোসেন আলী ওরফে মনির ও আঃ হাই হাইয়্যু তাদের অপরাধ স্বিকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বিকারোক্তি প্রদান করে। এ মামলায় ওবায়দুল নামে একজন পলাতক থাকলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ রিপোর্ট আদালতে দাখিলের পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। ডিবি পুলিশ আরো জানায়, সাইফুল ইসলাম শাকিলের সাথে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সুবাধে শাকিলের মায়ের অসুস্থ্যতার কথা বলে গত ৫/৬/২০১৯ তারিখে ভিকটিমকে মুক্তাগাছার কালিবাড়ি থেকে ময়মনসিংহ সদরের বোররচর গ্রামে শাকিলের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন উল্লেখিতদের সহায়তায় একটি অটোবাইকযোগে জামালপুর জেলা সদরের কেজাইকান্দার জনৈক শাহ সুফি সিরাজুলের গরুর খামারে নিয়ে যায়। পরে ঐ খামারে একটি ঝোপের মধ্যে উল্লেখিতরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন ভোরে চক্রটি ভিকটিমকে ঘোড়াধাপ বাজারে নিয়ে একটি অটোতে তুলে দেয়। অবিবাহিত এই যুবতির সমাজে নানা কলংকের বিবেচনায় ধর্ষণের মামলা না করলেও মুক্তাগাছা থানায় ধর্ষণের চেষ্ঠার অভিযোগে মামলা করে। সামাজিক কারণে ঐ মামলাও তুলে নেয়। এদিকে এই ভিকটিমের বিয়ে হলে স্বামী তাকে সন্দেহ পোষণ করতে থাকলে ভিকটিম ঘটনা খুলে বলেন এবং ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করে। পরে ভিকটিমের পিতা ঘটনার ৬ মাস পর মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করে।

ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মোঃ হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি ড। মোঃ আক্কাছ উদ্দিন ভূঁঞা, ময়মনসিংহের এসপি মোহাঃ আহমার উজ্জামান, জামালপুরের এসপি দেলোয়ার হোসেন, রেঞ্জ অফিসের এসপি সৈয়দ হারুন অর রশীদ; নেত্রকোণার এসপি আকবর আলী মুন্সী, শেরপুরের এসপি কাজী আশরাফুল আজীম, রেঞ্জ অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ.কে.এম. মনিরুল ইসলাম,মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফসহ ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

টি.কে ওয়েভ-ইন