বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬০ মামলায় একলাখ ৭৭ হাজার টাকা জরিমাণা আদায়

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ২৫, ২০২০, ২:০২ পূর্বাহ্ণ
এম.এ আজিজ, স্টাফ রির্পোটার, ময়মনসিংহ :
করোনা প্রতিরোধে আইন অমান্য করায় ময়মনসিংহ বিভাগীয় নগরীতে বৃহ¯প্রতিবার (২৩) এপ্রিল বিভাগীয় নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬০টি মামলা হয়েছে। এ অভিযানে ১ লাখ ৭৭ হাজার ২ শত টাকা জরিমাণা আদায় করা হয়। ১৯১টি অভিযানে এ সব মামলা ও জরিমাণা আদায় করা হয়।
করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী একটি একটি মহামারি। ভাইরাস জনিত এই রোগে বিশ্ব দুনিয়া কাপছে। সৃষ্টি হয়েছে মহাদুর্যোগ। শত কোটি মানুষ চরম দুর্যোগের মধ্যে পড়েছে। এক অপরকে দূরে ঠেলে দিয়ে মানুষ মানুষের কাছ থেকে এড়িয়ে চলার চেস্টা করছে। যেন নিজ গৃহে পরবাসী। মানবতা হয়ে দাড়িয়েছে ক্রমান্বয়ে প্রখর। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রতিরোধ যুদ্ধে নেমেছে পুরো বিশ্ব। বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে দৈনন্দিন জীবন যাপন। বাংলাদেশও এই যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে নেই। সরকার প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছেন, আপনারা ঘরে অবস্থান করুন। নিজে, পরিবার, সমাজ ও দেশকে বাচান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর ঘোষনায় ময়মনসিংহের মানুষজনকে নিজ ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর সহ জেলা, উপজেলায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে। লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, শহরের মোড়ে মোড়ে এবং গ্রামগঞ্জে ক্যাম্পিং করা হয়। ইতিমধ্যেই সাধারণ ছুটিতে দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সড়ক, মহাসড়কে যানবাহন বন্ধ রাখতে সরকারের উচ্চ পর্যায় নির্দেশনাজারি করেছেন। এছাড়া ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
ময়মনসিংহে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং লকডাউন বজায় রাখতে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী দিনরাত টহল দিচ্ছে। এর পরও কতক লোকজন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিনা প্রয়োজনে অকারণে এবং লকডাউন দেখতে রাস্তাঘাটে ঘুরাফেরা, চায়ের দোকান খুলে আড্ডাবাজি, বিকাশ ও ফেক্সিলোডের দোকানে এবং মোড়ে মাড়ে অযথা ঝটলা সৃষ্টিসহ হাট বাজারে ভীড় করেই আসছে। এ সমস্ত চক্র প্রশাসন ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুগুলী দেখিয়ে করোনা ভাইরাসকে নিজ ঘরে ডেকে আনতে হুমড়ি খেয়ে মাঠে নেমেছে।
এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনী দেশের মানুষকে করোনার করাম গ্রাস রেকে রায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সড়ক, মহাসড়কে যানবাহন বন্ধ থাকার পরও যারা দোকান খুলে আড্ডাবাজি, জনসমাগম ঘটানোসহ, সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে মোটরবাইকে একের অধিক চলাচল করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল জরিমাণা দেয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আয়শা হক জানান, বহ¯প্রতিবার বিভাগীয় নগরীতে জেলা প্রশাসনের একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০টি মামলা হয়েছে। এ সময় ১৩ হাজার ২শত টাকা জরিমাণা করা হয়। ৪টি অভিযানে এ জরিমাণা আদায় করা হয়। এছাড়া জেলা বিভিন্ন উপজেলায় ১৪৪ অভিযানে ৫০টি মামলা করা হয়েছে। এ সময় এক লাখ ৬৪ হাজার টাকা জরিমাণা আদায় করে আদালত। সময়ের আগে বিকাশের দোকান খোলা, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত না করায় উলেখিতরে বিরুদ্ধে এ সব মামলা ও জরিমাণা করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্টেট আরো বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার মুল্য স্থিতিশীল, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত ও মানুষকে তাদের ঘরে রাখতে এই অভিযান চলছে। আইন অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি জনগণকে অহেতুক ঘোরাঘুরি না করে সরকারি নির্দেশ মানতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।