ময়মনসিংহে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পৃথক অবিযান চালিয়ে দুই ঈধহৃতাকে উদ্ধার করেছে। রবিবার নান্দাইল থেকে মামলা গ্রহণের আট দিনের মধ্যে অপহৃত মোছাঃ রিক্তা আক্তার ও তারাকান্দার বাথুয়াদী থেকে মামলা গ্রহণের মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে অপহৃত মাদরাসা ছাত্রী রুখছানাকে রবিবার উদ্ধার করেছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, শালিকা রিক্তা আক্তারকে তার দুলাভাই আঃ হান্নান গত ২১ জুন তার স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সিএনজি যোগে পালিয়ে যায়। এ সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটটের ঘটনা ঘটে। পরে আঃ হান্নানের তার শালিকা রিক্তা আক্তারকে জোর পূর্বক বিয়ে করে। উক্ত ঘটনায় মা মোছাঃ ফিরোজো বেগম বাদী হয়ে তার বড় মেয়ের জামাই ও জামাইয়ের আত্মীয় স্বজনসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে নান্দাইল থানার সিআর মামলা নং-১৬১/২১, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ তৎসহ ১৪৩/১৪৮/৪৪৮/৪২৭/৩৮০/৫০৬(॥) দঃ বিঃ দায়ের করেন। মামলাটি পিবিআইয়ে এলে রবিবার হান্নানের বাড়ী হতে ভিকটিম মোছাঃ রিক্তা আক্তারকে উদ্ধার করেন।
এসপি গৌতম কুমার বিশ^াস বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম মোছাঃ রিক্তা আক্তারকে নান্দাইলের বরুয়া সাকিনস্থ (সালাম মাস্টারের বাড়ী) হান্নানের বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, রিক্তা আক্তারের সাথে হান্নানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঐ সম্পর্কের সূত্র ধরে হান্নান তার শালিকা রিক্তা আক্তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে তার পিতার বাড়ী থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। রিক্তা আক্তার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্বেচ্ছায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।ৎ
অপর অভিযানে তারাকান্দার বাথুয়াদী থেকে মামলা গ্রহণের মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে অপহৃত ভিকটিম মাদরাসা ছাত্রী মোছাঃ রুখছানা’কে উদ্ধার করে। কাকচর দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ রুখছানাকে স্থানীয় রনি মিয়া প্রায়ই প্রেম নিবদেন ও উত্যক্ত করত। রুখছানা তার বাবাকে জানালে তিনি রনির পিতা মাতাকে বিষয়টি জানালে তারা রনিকে শাসন না করে উল্টো ভিকটিম রুখছানার বাবাকে গালিগালাজ করে। রুখছানা প্রাইভেট পড়া শেষ করে রিকশা যোগে বাড়ী উদ্দেশ্যে রওনা দিলে টানাহেচড়া করে রিকশা থেকে নামিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাতনামা সিএনজি’তে করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রনি মিয়া ও তার পিতামাতা সহ মোট ০৩ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে তারাকান্দা থানার সিআর মামলা নং-১৫৭/২১, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯(১)/৭/৩০ দায়ের করেন। এসপি আরো বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম মোছাঃ রুখছানাকে বাথুয়াদী থেকে উদ্ধার করা হয়। রনি মিয়া তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক রিকশা থেকে নামিয়ে সিএনজি যোগে অপহরণ করে তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। রুখছানা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্বেচ্ছায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।