বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে নদী দখল-দূষণরোধে জনউদ্যোগের স্মারকলিপি ॥ দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস প্রশাসনের

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২
এম. এ আজিজ || প্রধান প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
  • প্রকাশিত সময় : আগস্ট, ৩, ২০২২, ৭:৪৭ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহের বুক চিরে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদ ও ত্রিশালের খিরু নদীসহ নদ-নদী দখল ও দূষণ মুক্ত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ময়মনসিংহের সামাজিক সংগঠন জনউদ্যোগ।

বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের কার্যালয় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন জনউদ্যোগ সদস্যরা। স্মারকলিপির বক্তব্য পড়ে শোনান জনউদ্যোগ আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু।

এসময় জনউদ্যোগ উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মির্জা মানজুরুল হক, অ্যাডভোকেট আব্দুল মোতালেব লাল, অ্যাডভোকেট আবুল কাসেম, সারওয়ার কামাল রবিন, অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার, সদস্য সচিব কাজী শাখাওয়াত হোসেন, অ্যাডভোকেট সানাউল হক তসলিম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান ফয়সাল, শিক্ষক নেতা খন্দকার সুলতান আহমদ, সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা, জগলুল পাশা রুশো, অধ্যক্ষ নূরজাহান পারভীন, নূরুন্নাহার বেগম দীপা, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান আকন্দ, অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, আফরোজা আকতার কণা, জিয়াউর রহমান, অ্যাডভোকেট আশফাকুল রাব্বী পাভেল, নাঈমুল ইসলাম, শাহনাজ পারভীন শানু প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার সকল নদ-নদীর সীমানা চিহ্নিত করে সেই জায়গায় গড়ে ওঠা সকল ধরণের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ, জেলার সকল নদ, নদী, খাল, বিল, পুকুর জলাশয় দখল-দূষণমুক্ত করা, নদ-নদী সমূহের তালিকা, আয়তন ও বর্তমান অবস্থা, নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা স্বেতপত্র আকারে জনসমক্ষে প্রকাশ এবং ফলপ্রসূভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ খননকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবী জানানো হয়।
জনউদ্যোগ সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, নদ-নদী পাশে যে কাজটি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। কারন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার তুরাগ নদীসহ দেশের সকল নদ-নদীকে ব্যাক্তি আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রায় প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমরা মনে করি নদের জায়গায় কোন রকম স্থাপনা নির্মাণ করা মানেই নদ দখল এবং নদের জীবন্ত সত্তাকে হত্যা করা। প্রকৃতি প্রদত্ত নদ-নদী সঠিক নক্সা নিরূপণে দখল-দূষণ রোধে সরকার এগিয়ে আসবেন বলে আমরা আশাবাদী। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দাবী বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।