এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার ॥
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গৃহবধূ তাছলিমা খাতুন হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। হত্যাকান্ডের অন্যতমহোতা ঘাতক স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতারের পর হত্যার দায় স্বিকার করেছে। পারিবারক কারণে স্ত্রী তাছলিমাকে গলাটিপে হত্যা করেছে। পরে তাছলিমা স্ট্রোক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে সুচতুর স্বামী প্রচারণা চালায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রাতে ঈশ্বরগঞ্জের চর পুবাইল গ্রামে তাছলিমা খাতুনের (২৮) লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে নিহতের স্বামী ও পরিবারের লোকজন প্রচার করে। এ ঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ থানায় – নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩) এর ১১(ক)/৩০ ধারায় মামলা নং-১, তারিখ-৪/১২/২০২০ দায়ের হয়। পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় ন্যস্ত হয়। পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় ওসি ডিবির তত্ববধানে এসআই শহিদুল ইসলাম তদন্ত করেন। দীর্ঘ তদন্তকালে অবশেষে হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়। ঘাতক স্বামী সোহেল মিয়াকে ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রীজ মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সোহেলের বরাত দিয়ে ওসি শাহ কামাল আকন্দ আরো বলেন, পারিবারিক দাম্পত্য ও সাংসারিক জীবনে বিরোধের জের ধরে স্বামী তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে। হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাছলিমা মারা গেছেন বলে প্রচারণা শুরু করেন। ঘাতক সোহেল মিয়াকে বুধবার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহাবুবা আক্তারের বিচারীক আদালতে পাঠানো হলে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
আসামীর নাম ঠিকানাঃ-১। মোঃ সোহেল মিয়া (৩২)পিতা-মোঃ অলিম উদ্দিন মাতা-মোছাঃ নুরুন্নাহার বেগম সাং-চর পুবাইল
থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ। ভিকটিমের নাম ঠিকানাঃ– ১। মোছাঃ তাছলিমা খাতুন (২৮)স্বামী-মোঃ সোহেল মিয়া পিতা মোঃ আব্দুস সালাম মাতা-মোছাঃ বিলকিছ সাং-চর পুবাইল থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ।
বাদীর নাম ঠিকানাঃ- ১। মোঃ মোস্তাকিম (২২) পিতা-মোঃ আব্দুস সালাম মাতা-মোছাঃ বিলকিছ সাং-নারায়ণপুর থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ।
টি.কে ওয়েভ-ইন