শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহের ফুলপুরে অসহায় পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্ঠায় দোকান ভাংচুর লুটতাজ

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এম. এ আজিজ || প্রধান প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ।
  • প্রকাশিত সময় : ফেব্রুয়ারি, ২৭, ২০২২, ১২:২৮ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহের ফুলপুরে অসহায় পরিবারকে জমি বিক্রির এক যুগ পর উচ্ছেদের চেষ্ঠা করছে দাতাসহ একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। জমির মালিক ছাইদুল ইসলামের ওয়ারিশানগন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্্েরট ও ফুলপুর সহাকারি জজ আদালতে মামলা করায় চক্রটি তাদেরকে কয়েকদফা মারধর, ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সব ঘটনায় মৃত সাইদুল ইসলামের স্ত্রী রীনা আক্তার ফুলপুর থানায় -৮(১২)২০২০ ও ১০(১২)২২ মামলা দায়ের করেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, ফুলপুরের দ্বারুয়ারি গ্রামে মৃত ফছিম উদ্দিনের ছেলে ছাইদুল ইসলাম একই গ্রামের হাসমত আলী ও আবুল হাশেমের কাছ থেকে ২৫/৪/২০১০ তারিখে ৩৭৩ দাগে তিন শতক জমি ক্রয় করেন। জমিদাতাগণ ছাইদুল ইসলামকে নিয়ম অনুযায়ী দখল বুঝিয়ে দেন। ছাইদুল উল্লেখিত জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করে। তার মৃত্যুর পর সন্তানরা ঐ দোকানে ব্যবসা করে আসছেন। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর জমিদাতা হাসমত আলী ও আবুল হাশেম দাবি করেন তারা ঐ জমি বিক্রি করেননি। বিক্রি করেছেন ৩৭২ দাগের জমি। এই জমি তারা অন্যত্র বিক্রি করবে। দখল না ছাড়লে উচ্ছেদের হুমকি দেয়। অসহায় ছাইদুলের পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে। ছাইদুলের ওয়ারিশানগণ দলিলের নকল তুলে দেখতে পান তাদেরকে দলিলে ৩৭২ দাগে জমি দলিল এবং ৩৭৩ দাগে দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে অসহায় পরিবারটি জমি দাতা হাসমত আলী ও আবুল হাশেমের কাছে ভুল সংশোধনের দাবিতে গেলে নানা তালবাহানা শুরু করেন। নিরুপায় ছাইদুল ইসলামের ওয়ারিশানগন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্্েরট আদালতে মামলা নং-১১১৪/২১ মামলা দায়ের করেন। আদালতে নির্দেশে ফুলপুরের সহকারি কমিশনার ফরজানা আক্তার ববি তদন্ত রিপোর্ট দেন। রিপোর্টে ছাইদুলের পরিবার ১২ বছর যাবত দোকান ও দখলে রয়েছে বলে বিষয় উল্লেখ করেন। এছাড়াও ভুল সংশোধনের দাবিতে ফুলপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা নং ৭৭/২০২০ দায়ের করেছেন।

আদালতে মামলা দায়েরের ঘটনায় চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে ছাইদুলের পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্ঠাসহ হুমকি দিয়ে আসছে। গত ৭/১২/২০২০ তারিখে রোপনের নেতৃত্বে একটি চক্র ছাইদুলের দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। তালা খুলে দোকানে ডুকতে গেলে চক্রটি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ছাইদুলের ছেলে নাছির উদ্দিন ও স্ত্রী রীনা আক্তারকে বেপরোয়া মারধর ও লুটতরাজ করে। এ ঘটনায় রীনা আক্তার ফুলপুর থানায় মামলা নং ৮(১২)২০২০ দায়ের করে। পরবর্তীতে ছাইদুলের ছেলে ও ওয়ারিশানগন দোকান ও ব্যবসা করতে থাকাবস্থায় গত ২০/২/২২ তারিখে খোকন, রোপন, ছোট্ট আক্তার ও আহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে চক্রটি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকানে ডুকে দোকানীকে গালমন্দ করে। প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর, লুটতাজ ও ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এ ঘটনায় রীনা আক্তার বাদি হয়ে মামলা নং ১০(১২)২২ দায়ের করে।
ছাইদুলের স্ত্রী রীনা আক্তার জানান, তার স্বামী ছাইদুল উচ্চ মুল্যে ৩৭৩ দাগের জমি কিনেছেন এবং ঐ দাগেই তাদেরকে দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন। তার স্বামী অশিক্ষিত ছিলেন। হাসমত ও হাশেম চতুরতার সাথে সুকৌশলে প্রতারণা করেছেন।