অভুক্ত পৃথিবী, তুই আর কতো কাঁদাবি?
আফ্রিকার জঙ্গলার হিংস্র ব্যাঘ্র থাবায়,
আর কতো নিটোল, প্রেমের মৃত্যু ঘটাবে?
ওরে অনাহারী কতো তাজা প্রাণ ভক্ষণতায়,
তোর সহস্রাব্দ বুভুক্ষা জ্বালা মেটাবি?
আহত পৃথিবী আর, কতোবার পুড়ে ছাই হলে,
ডানা মেলে উড়ে বেড়াবে সবুজ ছায়ায়।
মৃত্যুর মিছিলটা আর কতো বড় হলে,
করোনার বাজপাখিটা, ডানা গুটিয়ে ঘুমাবে চিরনিদ্রায়।
ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে,
প্রাণহীন কায়া , হায় !
আশার সুবর্ণ রেখায়, সবশেষ!
হয়তো নীড়ে ফেরা হবেনা আর,
দিবসের ক্লান্ত সেই, পালকবিহীন পাখির।
নিহন্তা করোনা, জন্মিলে চীনের উহান,
তব তাণ্ডবে, জগত আজ মহাশ্মশান।
যেন অনিশ্চয়তা কেন্দ্রবিন্দুতে, এই আবাসন,
রাজাও জানে না, প্রজাও জানে না,
টুপ করে কে কখন, কোথায় হারাবে প্রাণ।
সবি যেন পর, সেই অন্ধকার ঘর,
এক চিলতে বিবর্ণ শয্যায়, জ্যান্ত প্রাণের ইতি।
কতো অশ্রু জলে,বহিচ্ছে নাহর
দেখতে কি পাওনা, ওহে ভূপতি,
রক্ষা করো, কেমনে সহিবো আর ক্ষতি।
এশিয়া থেকে আফ্রিকা,
ইউরোপ থেকে এন্টারটিকা,
অস্ট্রেলিয়া থেকে আমেরিকা-
সবাই দিশেহারা, কারো নাই কোন গতি,
ফিরিয়ে দাও খোদা, তোমার মহা প্রশান্তি।
দাও ফিরিয়ে দাও , সেই স্বস্তির পৃথিবী।