টাকার বিনিময়ে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি করার প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাব ময়মনসিংহ। শনিবার নগরীর কাচিঝুলি এলাকা থেকে তাকে আট করা হয়। তার নাম হাদিউল ইসলাম। সে শেরপুরের নালিতাবাড়ির দোহালিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে। র্যাব ময়মনসিংহ ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃনাল কান্তি সাহা ও সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান চালায়।
র্যাব জানায়, আটককৃত হাদিউল ইসলাম ময়মনসিংহ নগরীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদেরকে ৮/১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মেডিকেল ও বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে সনদপত্র, নম্বরপত্র সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখতো।
পরবর্তীতে ছাত্র, ছাত্রীরা প্রতারনার শিকার হয়েছে বুঝতে পেরে সনদপত্র, নম্বরপত্র চাইলে, সনদপত্র
জিম্মি করে প্রতারক হাদিউল ভুক্তভোগীর কাছ মোটা অংকের টাকা দাবি করতো। র্যাব আরো জানায়, শেরপুর সদরের চয়ন আহাম্মেদ আকাশের সাথে পুর্ব পরিচয়ের সুবাধে এই প্রতারক তাকে মেডিকেল/বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে ফুসলিয়ে তার সমুদয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র হাতিয়ে নেয়। পরে প্রতারক হাদিউল তার কাছে ৮ লাখ টাকা দাবি করে। আকাশ অপরাগতা প্রকাশ করায় মোবাইলে তাকে হুমকি দিয়ে বলে তোর জন্য আমার ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আবারো এই প্রতারক ফোন করে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। পরদিন আকাশ ঐ প্রতারেকর সাথে দেখা করলে সে ৫ হাজার নিয়ে এসে সনদপত্র নিয়ে যাওয়ার দাবি করে। আকাশ র্যাবকে জানালে শনিবার র্যাব তাকে আটক করে। তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ও জিম্মি রাখা সকল সনদপত্র উদ্ধার করে র্যাব। এব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।